কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

জীবন বৃত্তান্ত তৈরি করার সময় খেয়াল রাখতে হবে কোন তথ্য যেন ভুল না থাকে। ছবি : প্রিয়.কম

চাকরির জন্য সিভি তৈরির ক্ষেত্রে যে ১১ টি বিষয়ে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে

ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০১৭, ২১:০১
আপডেট: ২১ আগস্ট ২০১৭, ২১:০১

(প্রিয়.কম) চাকরি ক্ষেত্রে নিজেকে উপস্থাপন করার সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য উপায় হচ্ছে জীবন বৃত্তান্ত অথবা Curriculum Vitae (CV). যেখানে খুব স্বল্প পরিসরে নিজেকে এবং নিজের যোগ্যতাকে তুলে ধরার ওপরই নির্ভর করে চাকরির বাজারে নিজের গ্রহনযোগ্যতা। প্রতিযোগিতা মূলক এই চাকরীর বাজারে নিজেকে আর দশজনের চেয়ে বুদ্ধিদীপ্তভাবে উপস্থাপন করতে না পারলে নিজের পছন্দসই এবং মর্যাদা সম্পন্ন চাকরী পাওয়াটা কঠিন হয়ে পড়বে। সেক্ষেত্রে সিভি লেখার সময় কিছু নির্দিষ্ট ব্যপার মাথায় রাখা অবশ্যই জরুরি।

নিজের জীবন বৃত্তান্ত তৈরি করার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ের প্রতি হতে হবে যত্নশীল এবং মনযোগী সেটা নিয়েই কিছু টিপস দিয়েছেন ‘শান্ত-মারিয়াম ইনিভার্সিটি অফ ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি’র লেকচারার ইসরাত সাব্রিনাঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ এবং এমবিএ শেষ করেছেন ইসরাত। এমবিএতে অসাধারণ ভালো ফল প্রাপ্তির জন্য তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পেয়েছেন ডীনস এওয়ার্ড”।  

তার অভিজ্ঞতার আলোকে জেনে নেওয়া যাক জীবন বৃত্তান্ত তৈরি সময়ে কোন কোন বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখা উচিৎ সকলের।

১। সর্বপ্রথম মাথায় রাখতে হবে, সিভিতে দেয়া তথ্যগুলো সঠিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে কিনা।

২। সিভি লেখার ক্ষেত্রে কোন স্টাইল বা ধরণ অনুসরণ করা হচ্ছে, সেটাই গুরুত্বপুর্ন বিষয়।

৩। শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করার ক্ষেত্রে দুটো উপায়ে করা যেতে পারে, সর্বশেষ উপার্জিত ডিগ্রী থেকে শুরু করা অথবা সর্বপ্রথম অর্জিত ডিগ্রি থেকে শুরু করা।

৪। শিক্ষাক্ষেত্রে কোনো উল্ল্যেখযোগ্য অর্জন থাকলে, অবশ্যই সেটা সিভি তে উল্লেখ করা উচিত। সেটা আপনার সিভি কে আরো আকর্ষনীয় করে তুলবে।

৫। শিক্ষা ছাড়া অন্য কোনো ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ অর্জন থাকলে তাও উল্লেখ করতে হবে। কোনো বিশেষ সেমিনার বা ওয়ার্কশপ এ অংশগ্রহন করে থাকলে উল্ল্যেখ করা উচিত।

৬। সিভির প্রথমেই Career Objective বা চাকরির উদ্দ্যেশ্য খুব স্বল্প কথায় কিন্তু স্পষ্ট ভাবে বর্ননা করতে হবে। যা দেখে আপনার ভবিষ্যত নিয়োগকর্তা আপনার কাজের উদ্দ্যেশ্য সম্পর্কে একটা ধারনা পেতে পারে। 

৭। চাকরিরত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে , ইতিমধ্যে করা কাজের অভিজ্ঞতা, কাজের বর্ননা, কাজের ধরণ - পরিষ্কার ভাবে তুলে ধরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ

৮। কাজের বাইরে, ব্যাক্তিগত আগ্রহ বা কোনো গুনাবলি থাকলে, সিভিতে উল্ল্যেখ করে দেয়া ভালো

৯। সিভিতে সর্বশেষ কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন অংশ হচ্ছে রেফারেন্স। এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে, নূন্যতম দুইজন ব্যক্তির রেফারেন্স জরুরী। সুপারিশকারী ব্যক্তি অবশ্যই প্রার্থীর রক্ত সম্পর্কিত অথবা নিকটাত্মীয় হতে পারবে না। চাকরিরত প্রার্থীর ক্ষেত্রে অন্তত একজন সুপারিশকারী বর্তমান চাকরিরত প্রতিষ্ঠানের হওয়া উচিত।

১০। সবশেষে মাথায় রাখতে হবে,সিভিতে উল্লেখিত প্রতিটি তথ্য সঠিক হওয়া বাঞ্ছনীয়। একটি ভুল তথ্য প্রার্থীর সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরী করে।

১১। সিভি তে সকল প্রয়োজনীয় তথ্যউপাত্ত বর্ননা করার পর, অবশ্যই সাক্ষর এবং তারিখ দিয়ে উপসংহার টানতে হবে।

সম্পাদনা: রুমানা বৈশাখী