ছবি: প্রিয়.কম
আবারও এরিকসনে কর্মী ছাটাই: টার্গেটে ইউনিয়ন কর্মীরা
আপডেট: ২১ আগস্ট ২০১৭, ১৬:১১
(প্রিয়.কম) বাংলাদেশে ব্যবসা কম এবং ব্যয় সংকোচনের কারণ দেখিয়ে আবারও কর্মী ছাটাই করেছে সুইডিশ টেলিযোগাযোগ যন্ত্রাংশ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এরিকসন। গত বৃহস্পতিবার ইমেইলের মাধ্যমে প্রায় ৬০ জন কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। যার মধ্যে ৫০ জনই আবেদনকৃত এরিকসন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন অব বাংলাদেশের সদস্য।
ছাটাইয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান প্রিয়.কমকে বলেন, এবারের ছাটাইয়ের তালিকায় থাকা ৬০ জনের মধ্যে ৫০ জনই আমাদের এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের কর্মী। যার মধ্যে সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামনও রয়েছেন।
এদিকে ছাটাই হওয়া কর্মীদের বিনা নোটিশে এবং কোনরকম বাড়তি সুবিধা না দিয়েই চাকরীচুত্য করায় আজ ২১ আগষ্ট সোমবার সকাল থেকেই গুলশানে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে শীর্ষ কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন কর্মীরা। ছাটাইয়ের নোটিশ পাওয়ার পর চাকরীচুত্য হওয়া কর্মীরা টেলিকম কোম্পানীর মতো স্বেচ্ছা অবসর স্কিম (ভিআরএস) দেওয়ার জন্য আবেদন করে। তবে শীর্ষকর্তাদের কাছ থেকে এই আবেদনে সাড়া মেলায় আজ সকাল থেকে এই অবরুদ্ধ কর্মসুচি পালন করছে এরিকসন কর্মীরা।
এই বিষয়ে ইউনিয়নের লুৎফর রহমান বলেন, আমরা কর্তাব্যক্তিদের কাছে ছাটাই হওয়া কর্মীদের চাকরির বয়স অনুযায়ী বাৎসরিক তিনটি করে বেসিক বেতন চেয়েছি। তবে তারা সেই আবেদনে সাড়া না দেওয়ায় আমরা সকাল থেকেই এই অবরুদ্ধ্ব কর্মসূচী পালন করছি।
তিনি জানান, সকাল থেকেই এরিকসন বাংলাদেশের হেড অব কান্ট্রি ইউনিট অ্যাস্টন টড, অ্যাক্টিং হেড অব কান্ট্রি ইউনিট আবদুস সালাম ও এইচআর ম্যানেজার মো. খায়রুল বাশারকে অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১৮ এপ্রিল থেকে প্রতিষ্ঠানটি কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে। ইতোমধ্যে থার্ডপার্টি কর্মীর ৩০০ জনের সবাই, ফিল্ড সার্ভিসেস অপারেশন (এফএসও) বিভাগে ২৫০ জনের মধ্যে ১৭৯ জন, ফুলটাইম ও লোকাল কন্ট্রাকচুয়াল টিম থেকে আরও ৪০ জন কর্মীকে বিদায় জানিয়েছে এরিকসন।
প্রিয় টেক/আশরাফ