টিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ঢাবিতে আওয়ামী লীগপন্থী নীল দলের শিক্ষকদের হাতাহাতি
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৭, ১০:৫২
(প্রিয়.কম) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থক নীল দলের শিক্ষকদের সভায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। সে সময় সহকর্মীদের আঘাতে সিনেট সদস্য ও নীল দলের সদস্য অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন আহত হয়েছেন।
২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টিএসসির সম্মেলন কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানীকে পদচ্যুত করার দাবি জানিয়েছেন নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুল আজিজ।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় টিএসসির সম্মেলন কক্ষে নীল দলের শিক্ষকদের সভায় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও তার সমর্থিত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী।
প্রক্টর রব্বানী বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান সমর্থিত শিক্ষক। তার কটাক্ষমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক সমর্থিত শিক্ষক সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ খ ম জামাল উদ্দিন।
অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের অভিযোগ, প্রতিবাদ জানানোয় প্রক্টর গোলাম রব্বানী তার দিকে তেড়ে আসেন। পরে ফলিত রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ মোহাম্মদ মাসুম ও ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. শীতেশচন্দ্র বাসার তাকে কিলঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়।
জামাল উদ্দিন বলেন, সে সময় ঘুষির ফলে আমার নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে শুরু করে। আর অধ্যাপক মাসুম চেয়ার নিয়ে আমার দিকে তেড়ে আসলে আমাকে ঘিরে বলয় তৈরি করেন উপস্থিত নীল দলের অন্য শিক্ষকরা।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রক্টর গোলাম রব্বানী। তিনি বলেন, আমি বক্তব্য দেওয়ার সময় জামাল উদ্দিন উত্তেজিত হয়ে আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। সে সময় আমাকে রক্ষা করার জন্য ঘিরে ফেলেন অন্য শিক্ষকরা। পরে পরিস্থিতি অনেক ঘোলাটে হয়ে যায়।
প্রক্টর রব্বানী আরও বলেন, এক পর্যায়ে জামাল উদ্দিনকে মেঝেতে বসে দেখে তাকে উঠিয়ে নিয়ে চেয়ারে বসাই। আর সবাইকে শান্ত থাকার আহবান জানাই। আমি শিক্ষকদের ঘেরাওয়ের মধ্যে ছিলাম। তাই জামাল উদ্দিনকে কেউ আঘাত করেছে কি না খেয়াল করিনি।
এ ঘটনায় নীল দলের শিক্ষকরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের বাসায় এসে বিচার দাবি করেন। তারা শুক্রবারের মধ্যে প্রক্টরকে পদচ্যুত করার দাবি জানান অন্যথায় আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন নীল দলের আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ।
আব্দুল আজিজ বলেন, ‘ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত এদের সাথে আমরা আর মিটিংয়ে বসব না। আগামীকালের মধ্যে প্রক্টরকে ‘স্যাক’ করা না হলে আমরা আন্দোলন করব।’
তবে সার্বিক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান।
প্রিয় সংবাদ/শিরিন