কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ফিলিপাইনের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের একটি শাখা। সংগৃহীত ছবি

আমাদের বলির পাঁঠা বানাবেন না, মুহিতকে আরসিবিসি

জাহিদুল ইসলাম জন
জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক, নিউজ এন্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৪:১০
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৪:১০


(প্রিয়.কম) বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮১ মিলিয়ন অর্থ চুরির ঘটনায় রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনকে (আরসিবিসি) ‘বলির পাঁঠা’ না বানাতে অনুরোধ জানিয়েছে ফিলিপাইনের ব্যাংকটি। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে চুরি হওয়া অর্থ এই ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছিলো।

এক বিবৃতিতে ব্যাংকটি দাবি করেছে, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই অর্থ চুরির জন্য তাদের অসতর্কতাই দায়ী। মঙ্গলবারের এই বিবৃতিতে আরসিবিসির লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স শাখার প্রধান জর্জ ডেলা কুয়েস্টা বলেন, ‘আইনগতভাবে প্রকাশযোগ্য সবকিছুই ফিলিপাইন সিনেট, ব্যাংকের নিয়ন্ত্রক ব্যাংকো সেন্ট্রাল ফিলিপিনাসের কাছে উন্মুক্ত করেছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক যতোটা পারে তা আড়াল করেছে। এটাই আসল পার্থক্য।’

বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত শনিবার ম্যানিলাভিত্তিক ব্যাংকটিকে ‘নিশ্চিহ্ন’ করতে চান মন্তব্য করার পর মঙ্গলবার বিবৃতি দেয় আরসিবিসি। 

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্কের ফেডারেল ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের একাউন্টে রাখা ৮১ মিলিয়ন অর্থ হাতিয়ে নেয় এখন পর্যন্ত চিহ্নিত না হওয়া হ্যাকাররা। সুইফট পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে ভুয়া নির্দেশ দিয়ে এসব অর্থ পাঠানো হয় ফিলিপাইনের ব্যাংক আরসিবিসিতে। পরে সেসব অর্থ চলে যায় ফিলিপাইনের ক্যাসিনোগুলোতে।

প্রায় দুই বছর পরও সনাক্ত করা যায়নি এই ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের। আর ম্যানিলার ক্যাসিনো পরিচালকদের কাছ থেকে মাত্র ১৫ মিলিয়ন অর্থ ফেরত পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিবৃতিতে ডেলা কুয়েস্টা বলেন, ‘এই চুরির ঘটনায় অংশত বাংলাদেশ ব্যাংকই দায়ী। তারা স্বচ্ছ হতে অস্বীকার করে সবকিছু আড়ালে রাখার চেষ্টা করে সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী চলা লড়াইয়ে ক্ষতি করছে। আরসিবিসি পরিষ্কারভাবে তাদের এক ভিকটম।’

আরসিবিসি তাদের অসৎ কর্মকর্তাদের দায়ী করে থাকে। আর ফিলিপাইনের প্রসিকিউটররা ব্যাংকটির সাবেক ম্যানেজারসহ চার একাউন্টধারীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ এনেছে। এসব একাউন্টের মাধ্যমে চুরির অর্থ লেনদেন হলেও ভুয়অ পরিচয়ধারী ওসব ব্যক্তিকে এখনও সনাক্ত করা যায়নি। এসব একাউন্টধারীকেই চুরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

চুরির অর্থ লেনদেন ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় আরসিবিসি এর মধ্যেই ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এক বিলিয়ন ফিলিপাইনের পেশো জরিমানা দিয়েছে।
ডেলা কুয়েস্টা বলেন, ‘এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক কী ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানানো উচিত। এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় জড়িতে কোন বাংলাদেশিকে সনাক্ত করা হয়নি। আরও অনেক কিছুই স্থগিত রেখেছে আদালত।’