কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রতীকী ছবিটি সংগৃহীত।

বাতাসে শীতের কানাকানি, আপনার ট্রাঙ্কটি খুলেছেন কি?

সিফাত বিনতে ওয়াহিদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৪ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:৫১
আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:৫১

(প্রিয়.কম)ক্ষণে ক্ষণে শীত আর শীতল অনুভূতি/জানালার ধারে এসে কাঁপে প্রজাপতি’- কার্তিকের আজ ২০ তারিখ, এরই মধ্যে শীতের হাওয়া লেগেছে প্রকৃতির প্রাণে দিনে মিষ্টি রোদ আর ভোর রাতে মৃদু হিম বাতাস, কার্তিকই জানান দিচ্ছে শীতের আগমন গ্রীষ্ম, বর্ষা কিংবা বসন্ত যেমন-তেমন, শীতকালে নিতে হয় অনেকটাই আগাম প্রস্তুতি আগাম প্রস্তুতি মানে লেপ-কম্বলসহ, শীতের কাপড় আগেভাবেই গুছিয়ে রাখা গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারের শীত কিছুটা দ্রুতই চলে এল, তাই শীতকে বরণ করে নিতে স্টোর রুমে থাকা ট্রাঙ্কটি খুলেছেন কি? প্রিয়.কম এর আজকের আয়োজনে জেনে নিন শীতের কিছু প্রস্তুতি সম্পর্কে-

শীতের কাপড়গুলো তুলে রাখা হয়েছে অনেকদিন যাবত, ফলে দীর্ঘদিন বাক্সে বন্দি থাকা কাপড়গুলো এখনই পরিষ্কার করে নিন ধুয়ে কিংবা রোদে না দিয়ে ব্যবহার করলে অনেকদিন বাক্সে বন্দি থাকার কারণে কাপড়গুলোতে ধুলোবালি, ব্যাকটেরিয়া এবং ভ্যাপসা গন্ধ সবই থেকে যাবে পুনরায় ব্যবহারের আগে তাই সোয়েটার-চাদর বা শাল, জ্যাকেট এবং গরম কাপড়গুলো ভালো করে ধুয়ে কড়া রোদে শুকাতে হবে। অনেক সময় দীর্ঘদিন বাক্সে বন্দী থাকার কারণে কাপড়ে হলদেটে দাগ পড়ে যায়। প্রয়োজনে সেগুলো লন্ড্রিতে ড্রাইওয়াশে দিতে পারেন। তবে কড়া রোদে শুকানোর পর কাপড়গুলোকে অবশ্যই ভালো করে ঝেড়ে রাখতে হবে। উলের সোয়েটারগুলো হালকা গুঁড়া সাবান দিয়ে খুব যত্নে হালকাভাবে ধুতে হবে। সোয়েটার ও শাল শুকাতে সময় বেশি লাগে, ফলে রৌদ্রজ্জ্বল দিন দেখেই এগুলো ধোয়া উচিত।

বাক্সে বন্দি অনেক শীতের কাপড়ই হয়তো খুলে দেখতে পারেন পুরনো হয়ে গিয়েছে, রং জ্বলে গিয়েছে, তেলাপোকায় খেয়েছে কিংবা ছোট হয়ে গিয়েছে, ফলে দেরি না করে এখনই শীতের প্রয়োজনীয় কাপড় কিনে ফেলতে পারেন। অনেক সময় কাপড়গুলো ঠিক থাকলেও দু-এক জায়গায় পোকায় খাওয়ার কারণে দেখতে বাজে লাগে, সে কাপড়গুলো যদি হালকা রিপু করে পরার উপযোগী হয়, তবে সে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। ছোট ছোট কাপড় যেমন মোজা, কান টুপি, হাত মোজা, মাফলার- এগুলো এখুনি ধুয়ে হাতের কাছে রাখুন, যে কোনো সময় এগুলোর প্রয়োজন হতে পারে। বিশেষ করে পরিবারের শিশু সদস্যদের ছোট ছোট কাপড়গুলো এখনই গুছিয়ে রাখুন, যেন প্রয়োজনে হাতের নাগালেই খুঁজে পান। এছাড়া তাদের গত বছরের পুরান কাপড়গুলো রোদে শুকাতে দেওয়ার সময় উল্টেপাল্টে দিন, তাতে কাপড়ের জীবাণুবগুলো দূর হতে সাহায্য করবে। শীতে সবচেয়ে বেশি তারাই ঠাণ্ডা কষ্টে ভুগে থাকে। পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের জন্যও প্রয়োজনীয় শীতের পোশাক এখন থেকেই গুছিয়ে রাখুন। শিশুদের সাথে সাথে তারাও শীতের প্রকোপে দ্রুতই আক্রান্ত হন। পুরুষদের ব্লেজার ব্রাশ দিয়েই পরিষ্কার করা যায় তবে যদি খুব প্রয়োজন মনে হয় তবে ড্রাইওয়াশে দিতে পারেন। লন্ড্রি থেকে আনার পর হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখুন।

শীতের আরেকটি জরুরি উপাদান লেপ-কম্বল অনেক পরিবারেই এ বছর যুক্ত হতে পারে নতুন সদস্য ফলে নতুন সদস্য সংখ্যা বিবেচনা করে বাড়তি কিছু লেপ-কম্বলের প্রয়োজন হলে সেগুলো এখনই কিনে ফেলা উচিত কাপড়ের মতো লেপ-কম্বলের অনেক জায়গাতেও পোকা কাটতে পারে, ফলে সে অংশগুলো প্রয়োজনে সেলাই করে কিংবা ব্যবহারের উপযোগী না থাকলে পাল্টিয়ে নতুন লেপ-কম্বলের ব্যবস্থা করতে পারেন শীতের পুরোটা সময় লেপ-কম্বল নিয়মিত ব্যবহৃত হবে, ফলে লেপ ও কম্বলের কভারগুলো এখনই ধুয়ে শুকিয়ে রাখুন কড়া রোদ পড়লে লেপ ছাদে কিংবা বড় বারান্দায় রাখুন, বিকালের মধ্যেই তুলে এনে রোল আকারে ভাঁজ করে রাখুন

কম্বল খুব বেশি কড়া রোদে না দেওয়াই ভালো লোমশ কম্বলগুলো রোদে শুকানোর পর অনেক সময় লোম ঝরে পড়ে, ফলে রোদ থেকে তুলে আনার পর নরম ব্রাশ দিয়ে হালকা করে ঝেড়ে নিতে হবে এছাড়াও শীতকালে জানালার পর্দাগুলো পরিবর্তন করতে পারেন ঘরের হালকা পর্দাগুলো সরিয়ে তুলনামূলকভাবে ভারী পর্দা ব্যবহার করা যেতে পারে উঠিয়ে রাখা ভারী পর্দাগুলো এখনই ধুয়ে ঘরে রাখতে পারেন কিংবা যে কোনো লন্ড্রিতে ড্রাই ওয়াশেও দেওয়া যেতে পারে

শীত পুরোপুরি জেঁকে বসার পূর্ব মুহূর্তে হঠাৎ হঠাৎ ঠাণ্ডা-গরম অনুভূতিতে নানা ধরনের ঠাণ্ডাজনিত রোগ দেখা যায়। এ বিষয়েগুলোতে আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। এখন যে আবহাওয়া চলছে, তাতে দিনের বেলা ততটা ঠাণ্ডা না থাকলেও ভোর রাতে এবং সকালবেলা শীতল বাতাস বয়ে যায়, ফলে রাতে শোয়ার আগে পাতলা কাঁথা বা চাদর কাছে রাখা উচিত। এ সময় ঘরের ফ্লোরগুলোও ভীষণ ঠাণ্ডা থাকে, ফলে হাঁটাচলা করতে কিংবা নিচে বসতেও অস্বস্তি লাগে। শুধু মাত্র শীতের এ সময়টাতে ঘরের কার্পেটিং এর ব্যবস্থা করতে পারেন। ঘরে আগের উঠানো পুরাতন কার্পেট থাকলে তা ধুয়ে রোদে শুকিয়ে রাখুন, যাতে শীতের প্রকোপ বাড়লেই ফ্লোরে বিছিয়ে দেওয়া যায়। অনেক পরিবারেই সদস্যরা মেঝেতে বসে আড্ডা দিয়ে থাকেন, কিংবা সব সদস্যরা এক সঙ্গে নিচে বসে খাবার খেয়ে থাকেন। অনেকেই অবসরে নিচে বসে ডাবা বা লুডু জাতীয় খেলাও খেলে থাকেন। শীতের এ সময়টাতে মাটিতে শতরঞ্জি বিছিয়ে রাখতে পারেন, তাতে দৈনন্দিন অভ্যাসে ব্যাঘাত ঘটবে না

প্রিয় ফ্যাশন/গোরা