কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রতীকী ছবি

বিদ্যুতের বর্ধিত দাম প্রত্যাহারের দাবিতে হরতাল

হাসান আদিল
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:৪৬
আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:৪৬

(প্রিয়.কম) বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবিতে হরতালের ডাক দিয়েছে সিপিবি-বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা। আগামী ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সারাদেশে হরতাল পালন করবে দলগুলো।

২৩ নভেম্বর সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিপিবি-বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার এক জরুরি সভা থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। 

সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, গণশুনানিকে উপেক্ষা করে মালিক-আমলাদের স্বার্থরক্ষায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির এক তরফা ঘোষণা অগণতান্ত্রিক এবং গণবিরোধী। অবিলম্বে বিদ্যুতের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার করতে হবে। 

সভায় অংশ নেওয়া নেতৃবৃন্দ গণবিরোধী এ ঘোষণা প্রত্যাহারে সরকারকে বাধ্য করতে আহ্বান করা হরতালে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক, সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, ইউনাইডে কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আব্দুস সাত্তার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, সিপিবি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা মানসদ নন্দী, ফখরুদ্দিন কবির আতিক, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক মনির উদ্দিন পাপ্পু প্রমুখ। 

এর আগে রাজধানীর কারওয়ানবাজারের বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ভবনে সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুতের দাম খুচরা পর্যায়ে ইউনিট প্রতি ৩৫ পয়সা করে বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। দাম বৃদ্ধির এ পরিমাণ পূর্বের তুলনায় প্রায় ৫.৩ শতাংশ বেশি। তবে পায়কারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির চেয়ারম্যান মোনোয়ার ইসলাম বলেছিলেন, বিদ্যুৎ বিতরণের খরচ বাড়ার কারণে খুচরা পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বর থেকে ইউনিট প্রতি (এক কিলোওয়াট ঘণ্টা) গড়ে ৩৫ পয়সা বা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি গুনতে হবে গ্রাহকদের। তবে বিদ্যুতের পাইকারি (বাল্ক) দাম বাড়ানো হয়নি। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে ৫০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের ন্যূনতম চার্জ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

প্রিয় সংবাদ/রিমন