বেশি করে ফল খাওয়াটা আপনার জন্য উপকারী। ছবি: রিপন
ঈদে ইচ্ছেমত খেয়েও থাকুন কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্ত
আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২০:০৮
(প্রিয়.কম) ঈদ এমন একটা সময় যা খুবই উপভোগ করেন খাদ্যপ্রেমী মানুষেরা। বিভিন্ন ধরণের মাংসের পাশাপাশি এমন রান্নাও হয় যা হয়তো সারাটা বছর রান্না করা মোটেই সম্ভব হয় না। তাই এ সময়টায় ভারী ভারী খাওয়াটা একটু বেশিই হয়ে যায় অনেকের। এর ফলাফল হিসেবে দেখা দিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য। ঈদের কয়েকটা দিন অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগতে পারেন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে রাখতে এবং তা থেকে মুক্তি পেতে কী করা যেতে পারে, এ ব্যাপারে আমরা কথা বলি ডাঃ সাদিয়া আফরোজের সাথে। চলুন জেনে নিই তার মতামত-
কখন বুঝবেন কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে?
আমরা অনেকসময়েই বলি শরীর কষে গেছে বা কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে। কিন্তু ডাক্তারি ভাষায় এর সংজ্ঞা আলাদা। টানা তিনদিন মলত্যাগ না হলে তখনই তাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলেন ডাক্তারেরা।
কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে কী করা যেতে পারে?
কোষ্ঠকাঠিন্য যাতে না হয় তার জন্য আমরা আগে থেকেই নিয়ে রাখতে পারি কিছু ব্যবস্থা-
১) প্রথমত, বেশি রেড মিট খাওয়া এবং কম ফাইবার খাওয়াটা কোষ্ঠকাঠিন্য তৈরি করতে পারে। এ সমস্যা থেকে দূরে থাকার জন্য তাই মাংসের পাশাপাশি বেশি পরিমাণে ফাইবার আছে এমন খাবার, যেমন শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে। মাংসের তরকারিতে সবজি দিতে পারেন, এর পাশাপাশি খেতে পারেন ফল ও সবজি দিয়ে তৈরি সালাদ।
২) অনেকেই খাবার যথেষ্ট চিবিয়ে খান না, এতেও কোষ্ঠকাঠিন্য তৈরি হতে পারে। খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে নরম করে খান।
৩) বেশি করে পানি পান করুন। ঈদের সময়ে অনেক ভারী খাবার খাওয়া হয়। এসব খাবার হজম হবার জন্য অনেক পানি দরকার। পানি কম পান করা হলে কোষ্ঠকাঠিন্য হবার সম্ভাবনা বাড়ে।
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কী করবেন?
কোষ্ঠকাঠিন্য একবার দেখা দিলে তা খুবই কষ্ট দেয়। তা দূর করার জন্য আপনি ঘরোয়া একটি প্রচলিত উপায় ব্যবহার করতে পারেন, তা হলো ইসুবগুলের ভুষি। ঘুমাতে যাবার আগে বা ঘুম থেকে উঠে খালিপেটে ইসুবগুলের ভুষির শরবত পান করুন। অনেকেই ইসুবগুলের ভুষি দীর্ঘসময় পানিতে ভিজিয়ে পান করেন, সেটার কোনো দরকার নেই। ইসুবগুলের ভুষি পানিতে দিয়ে সাথে সাথে গুলে পান করে ফেলুন।
কখন বুঝবেন ডাক্তারের কাছে যাওয়া জরুরী
৩ দিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে, সাথে জ্বর, পেটে ব্যথা, পেট শক্ত হয়ে থাকলে এবং ঘরোয়া উপায়ে কাজ না হলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। তিনিই আপনাকে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্ত হবার ওষুধ দেবেন।
সম্পাদনা : রুমানা বৈশাখী