প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি।
ভূমির মালিকানা পাবেন পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ: শেখ হাসিনা
আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৮, ১৫:৩০
(প্রিয়.কম) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ব্রিটিশ আইন দ্বারা জমির মালিকানা নির্ধারণ করা হবে না। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের মতো নিশ্চিন্তে ভূমির মালিকানা ভোগ করতে পারবেন পার্বত্য চট্টগ্রামের বাসিন্দারা।’
২১ জানুয়ারি রোববার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার মিতিঙ্গাছড়ি ৪০০০তম পাড়াকেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তিনি।
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয় মন্ত্রণালয় ও ইউনিসেফ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বার্তা সংস্থা ইউএনবি’র খবরে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সমগ্র দেশকে সমানভাবে গুরুত্ব দেয় সরকার। এক অঞ্চলকে বাদ দিয়ে দেশের বিকাশ সম্ভব নয়। আমরা দেশের অবহেলিত এলাকার উন্নয়নে বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছি। চট্টগ্রামের সামগ্রিক উন্নয়ন আমাদের দায়িত্ব।’
তিনি বলেন, ‘১৯৯৬-২০০১ সরকারের আমলে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তির একটি বড় অংশ ইতিমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। বাকি অংশ অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে। ’
শেখ হাসিনা জানান, জমিসংক্রান্ত বিরোধের বিষয়ে তার সরকার ভূমি কমিশন গঠন করেছে। যদি কমিশন নিয়মিতভাবে বসতে পারে তবে সমস্যার সমাধান করা যাবে।
এ সময় আধুনিক চাষ পদ্ধতি গ্রহণের ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন করতে চাই। এতে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরীর পাশাপাশি রফতানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।’
চট্টগ্রাম অঞ্চলের শান্তি বজায় রাখতে এ অঞ্চলের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম: শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচনও করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা। এতে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয় মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রধান এডওয়ার্ড বেগবেদার।
প্রিয় সংবাদ/শিরিন/আরএ