কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

খুলনা টাইটান্সের কোচ মাহেলা জয়াবর্ধনে। ছবি: প্রিয়.কম

বিদেশিদের দাপটই তরুণ ক্রিকেটারদের চ্যালেঞ্জ

জুবায়ের আহমেদ তানিন
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:০৬
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:০৬

(প্রিয়.কম) বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সিলেট পর্বে ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়েছেন বিদেশি ক্রিকেটাররা। শীর্ষ পাঁচ রান সংগ্রাহকের তালিকায় নেই কোনও বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান। যদিও শীর্ষ পাঁচ বোলারের তিনজনই বাংলাদেশের। প্রথম আট ম্যাচের পাঁচটিতেই ম্যাচসেরা হয়েছেন বিদেশি ক্রিকেটাররা। দেশি ক্রিকেটারদের ছাপিয়ে ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করে দিচ্ছেন বিদেশিরা। এটা উঠতি ক্রিকেটারদের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন খুলনা টাইটান্সের কোচ মাহেলা জয়াবর্ধনে।

একদলে পাঁচ বিদেশি ক্রিকেটার খেলানোর সিদ্ধান্তে আপত্তি তুলেছেন অনেকেই। কারণ এর সঙ্গে জড়িত দেশি ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের গ্রাফ। বিপিএলের শুরু থেকেই আড়ালে দেশি ক্রিকেটাররা। এটাকে তরুণ ক্রিকেটারদের ক্ষতির কারণ হিসেবে দেখছেন না জয়াবর্ধনে। বলেন, ‘সিলেটে প্রতিটা দল মাত্র দুটো করে ম্যাচ খেলেছে, আরও সময় যাক তখন দেখা যাবে। আমার মতে কম্বিনেশনের কথা চিন্তা করলে এটা দলের শক্তি বাড়াচ্ছে। দেশি ক্রিকেটারদের এটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেওয়া উচিত। নিজেদের প্রমাণ করেই তারা দলে জায়গা করে নিক। দলে কেবল সেরা ক্রিকেটাররাই সুযোগ পাবে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ১১ জন ক্রিকেটার দরকার, ৩০ জন নয়।’

সিলেট পর্ব শেষ করে বিপিএল ফিরেছে ঢাকায়। ঢাকায় ফিরেও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেরট স্টেডিয়ামের সৌন্দর্যের মুগ্ধতা কাটছে না জয়াবর্ধনের, ‘আমি সিলেটে অনেক উপভোগ করেছি। খুব সুন্দর একটা ভেন্যু। দর্শকদের সমর্থনও ছিল দুর্দান্ত। বিপিএলের এই আসরের জন্য এই শুরুটা খুব দরকার ছিল। আশা করছি ঢাকাতেও এমন উত্তেজনা থাকবে।’

চতুর্থ বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে খেলেছিলেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক জয়াবর্ধনে। বছর ঘুরতে না ঘুরতে সেই জয়াবর্ধনে এবার কোচের ভূমিকায়। কোচ হিসেবে নিজের দায়িত্ব বেশ উপভোগ করছেন তিনি, ‘ক্রিকেটার এবং কোচ হিসেবে আলাদা চ্যালেঞ্জ নিতে হয়। আমি যখনই খেলেছি উপভোগ করেছি। কোচিংয়েও তাই। সবসময় আমি তরুণ ক্রিকেটারদের সাহায্য করি।’

প্রিয় স্পোর্টস/মিজান