কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার। ছবি: লেখক

আপনি কি জানেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এখন যাদুঘর?

খন্দকার মহিউদ্দিন
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০১৭, ২১:৩৬
আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৭, ২১:৩৬

(প্রিয়.কম) বেশ কিছু কারণে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রতি সাধারণ জনগণের আগ্রহ ব্যাপক। এই কারাগারটি বাংলাদেশের তথা উপমহাদেশের জন্য অন্যতম ঐতিহ্যবাহী একটি কারাগার। ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী এই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার। কারাগারটি স্থাপিত হয় ব্রিটিশ শাসনামলে। বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার পতনের পর তৎকালীন ব্রিটিশ শাসকগন ১৭৮৮ সালে এই কারাগারটি স্থাপন করেন ১৭ একর জায়গার উপর। তারপর ১৮৬০ এর দশকে অনেক সিপাহিকে ফাঁসিতে হত্যার পর এখানে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল মরদেহ পচিয়ে ফেলার জন্য। ইতিহাসের এমন জঘন্য হত্যাকান্ড এখানে ঘটানোর কারণ ছিল, এই সিপাহীরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সিপাহী বিদ্রোহে অংশ নিয়েছিল। তারপর ১৯৪৭ এর ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনকারী থেকে শুরু করে ১৯৫২তে ভাষা আন্দোলন পর্যন্ত প্রায় সকল রাজবন্দী আর নেতাদেরকেই এই কারাগারে কাটাতে হয়েছে বহুদিন। ১৯৭৫ এর জেলহত্যাকান্ডের মাধ্যমে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিলো এই কারাগারে। এমন আরো অসংখ্য ঘটনার সাক্ষী এই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার। আর তাই একে ঘিরে রয়েছে সাধারণ মানুষের অপরিসীম কৌতূহল। 

জনসাধারণের এই কৌতূহল পূরণে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল বিগত ২০১৬ সালের শেষের দিকে। এই কারাগারটিকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়েছে কিছু বিশেষ জায়গাকে সংরক্ষিত রেখে। যে কেউ চাইলে ১০০ টাকার টিকেট কেটে এই জাদুঘর পরিদর্শন করার জন্য কারাগারের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি পাবেন। কিছু স্পর্শকাতর জায়গা ছাড়া ঘুরে দেখতেও পারবেন পুরো ৩৭ একরের কারাগারটি। 

গুগল ম্যাপে দেখে নিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার। 

কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, এই কারাগার জাদুঘরটি এখন বন্ধ আছে। আপনি চাইলেও এখন এখানে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রিয়.কম থেকে আমরা সেখানে গিয়ে কর্তব্যরত গার্ডের কাছ থেকে জানতে পারি এখানে এখন প্যারেড মহড়া চলছে। তাই ভিতরে কারো প্রবেশ এর উপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। 

আবার কবে থেকে দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবে জানতে চাইলে সে আমাদের জানান বিজয়ের মাসে আবার এই জাদুঘর খুলে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তখন প্রিয়.কম থেকে যাদুঘর ভ্রমণ করে এই সম্পর্কিত আরও বিশদ তথ্য উপস্থাপন করা সম্ভব হবে আশা করি।

সম্পাদনাঃ ড. জিনিয়া রহমান

প্রিয় ট্রাভেল সম্পর্কে আমাদের লেখা পড়তে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেইজে। যে কোনো তথ্য জানতে মেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়। ভ্রমণ বিষয়ক আপনার যেকোনো লেখা পাঠাতে ক্লিক করুন এই লিংকে - https://www.priyo.com/post।