কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

দারুণ এই ছবিগুলো কিন্তু মুঠোফোনের ক্যামেরায় তোলা! ছবি কৃতজ্ঞতা: কাজী নাজিয়া মুশতারি

ডিঙি নৌকায় 'দিঘলীর বিল' (দেখুন ছবিতে)

রুমানা বৈশাখী
বিভাগীয় প্রধান (প্রিয় লাইফ)
প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর ২০১৭, ১৫:২৫
আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৭, ১৫:২৫

(প্রিয়.কম) প্রিয় ঋতু কোনটা জিজ্ঞাসা করলে অনেকেই বর্ষাকালের নাম বলেন। কিন্তু এর বাইরেও বড় অংশের মানুষের পছন্দের ঋতু শরৎ ও হেমন্ত। যেমন, কাজী নাজিয়া মুশতারির নিজেরও সারা বছরে প্রিয় সময় মাঝ শরৎ থেকে হেমন্তের পুরোটা। অদ্ভুত সুন্দর নীলাকাশ, তাতে সাদা মেঘের ভেলা, ঝকঝকে সূর্যালোক, কাশবনের এলোমেলো বাতাস, টুপটাপ পাতা ঝড়ানো ঝিম ধরা দুপুর- এমন সময়ে নিজেকে ঘরে বন্দী রাখতে মোটেও ভালোবাসেন না তিনি। প্রায়ই বেড়িয়ে পড়া হয় এদিক-সেদিক। নিজের ছিমছাম সময়টুকুন প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাওয়াতেই তাঁর ভালো লাগা।

দিঘলি০২

হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন। আজ আমরা  প্রকৃতি প্রেমিক নাজিয়ার তোলা কিছু ছবিই দেখাবো আপনাদের। 'দিঘলীর বিলে' ছোট্ট ডিঙি নৌকায় চেপে ঘুরতে ঘুরতে দারুণ সুন্দর জায়গাটির ছবি তুলে এনেছেন নিজের মুঠোফোনে। চলুন, আজ আমরাও ক্ষণিকের জন্য না হয় ঘুরেই আসি দিঘলীর বিল হতে। 

দিঘলি০৩

কাজী নাজিয়া মুশতারির জন্ম ১৯৮৬ সালে, নওগাঁ শহরে। স্থায়ী আবাসটাও নওগাঁতেই। মাঝে লেখাপড়া ও অন্যান্য কাজের জন্য ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ঢাকায় থাকা হয়েছিল বটে, কিন্তু নওগাঁর প্রতি ভালোবাসা তাঁকে আবারও টেনে নিয়ে গেছে সেই জন্ম নগরীতেই। পেশায় নারী উদ্যোক্তা। খুব ভালোবাসেন বই পড়তে, রান্না করতে। সাথে সিনেমা দেখা ও বেড়ানো তো আছেই। বিশেষ করে সাগর ও পাহাড় একসাথে আছে এমন স্থান খুব পছন্দ। বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে হরেক রকমের খাবারের স্বাদটা চেখে নেয়াও তার আরও একটা ভালো লাগা।  

দিঘলি০৪

ফিরে আসি দিঘলীর বিলের কথায়। এই বিলের অবস্থান নওগাঁ জেলা সদর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে। এখান থেকে আরেকটু সামনে গেলেই দেখা যাবে দুবলহাটির রাজবাড়ি। যদিও রাজবাড়ীর আগের সেই জৌলুস এখন আর অবশিষ্ট নেই কিছুই। যেটুকু তাও টিকে ছিল, প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে সেও ধ্বংসপ্রায়। 

দিঘলি০৫

দিঘলীর বিল নাটোরের চলন বিলের সাথেও সংযুক্ত। স্থানীয়ভাবে সবাই একে তালতলীর বিল নামেই চেনে। শুকনা মৌসুমে প্রচুর ধান হয় বিলে, তখন এর সৌন্দর্য আবার আরেকরকম। তখন দিগন্তবিস্তৃত সবুজ ভেলভেট বাতাসে দোলে। এখন যেমন দেখছেন চারদিকে নীলের জলরাশি, তখন কিন্তু যেদিকে তাকাবেন সেদিকেই শুধু কচি কচি ধানগাছের সৌন্দর্য।

দিঘলি০১

কীভাবে যাবেন?

ঢাকা থেকে যদি এই বিল দেখতে যেতে চান তাহলে কল্যাণপুর বাস্টস্ট্যান্ড থেকে নওগাঁগামী যে কোনো বাসে উঠে পড়ুন। রাস্তায় জ্যাম না থাকলে যমুনাসেতু দিয়ে ৬ ঘন্টায় পৌঁছে যাবেন দেশের সবচে বড় চালের মোকাম নওগাঁতে। শহরে নেমে যে কোন রিক্সাওয়ালা বা ব্যাটারি চালিত অটোকে জিজ্ঞাসা করলেই নিয়ে যাবে এই দিঘলীর বিলে। রাত কাটানোর জন্য বেশ ভালো মানের হোটেল পাবেন নওগাঁ শহরেই। আর আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের বাড়ি থাকলে তো সোনায় সোহাগা! 

প্রিয় লাইফ/ কে এন দেয়া