কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মহাসড়কে নৌকা চলাচল বন্ধ। ছবি: প্রিয়.কম

অবশেষে মহাসড়কে নৌকা চলাচল বন্ধ হলো!

সানী ইসলাম
কন্ট্রিবিউটর, শেরপুর
প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০১৭, ১২:৩৬
আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০১৭, ১২:৩৬

(প্রিয়.কম) সম্প্রতি পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ, দশানী ও মৃগী নদীর পানি বৃদ্ধি ও ভাঙনে সৃষ্ট বন্যায় শেরপুর-জামালপুর অাঞ্চলিক মহাসড়কের পোড়ার দোকান এলাকা ডুবে যায়। ফলে এ অাঞ্চলিক মহাসড়কে টানা গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে যান চলাচল বন্ধ থাকে এবং মহাসড়কে নৌকা দিয়ে চলাচল শুরু হয়। তবে আস্তে আস্তে পানি নামতে থাকায় শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

তাই শেরপুর-জামালপুর অাঞ্চলিক মহাসড়কের পোড়ার দোকান এলাকায় ডুবে যাওয়া সড়ক দিয়ে যান চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৪ অাগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হওয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

পানিতে ডুবে আছে শেরপুর- জামালপুর মহাসড়ক। ছবি: প্রিয়.কম

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বন্যায় জেলার শেরপুর সদর, নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের প্রায় ৮০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এর মধ্যে শেরপুর সদরের ৮টি ইউনিয়নের ৩৩টি, শ্রীবরদীর দুটি ইউনিয়নের ৩৫টি এবং নকলার চারটি ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এ বন্যায় প্রায় তিন হাজার হেক্টর জমির আমন আবাদ, বীজতলা ও সবজির আবাদ বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায়। এছাড়া বন্যার পানিতে ডুবে দুজনের মৃত্যু হয়।

তবে পানি নামতে থাকায় শেরপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। জাগতে শুরু হয়েছে নিমজ্জিত ফসলের জমি। তবে এখনও সদর উপজেলার আটটি ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি নিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা বলেন, পানি পুরোপুরি নেমে যাওয়ার পর ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব পাওয়া যাবে। তবে কৃষকদেরকে বন্যা পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে মাঠ পর্যায়ে অবহিতকরণ করা হচ্ছে।

প্রিয় সংবাদ/আশরাফ