কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

তামিম ইকবাল। ছবি: সংগৃহীত

‘ভুলে গেলে চলবে না বোলাররাই আমাদের অনেক জয়ে সাহায্য করেছে’

মেহেরিনা কামাল মুন
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০১৭, ০৯:৪২
আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৭, ০৯:৪২

(প্রিয়.কম) গেল আড়াই বছরের পরিচিত বাংলাদেশ দলটাকেই কেমন যেন অপরিচিত লাগছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এ যেন এক অন্য বাংলাদেশ দল। টেস্ট সিরিজে বিশাল ব্যবধানে হারার পর ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ১০ উইকেটের লজ্জার হার।

অ্যাংকেল মচকে যাওয়ায় এই সিরিজে আর খেলা হচ্ছে না বাংলাদেশের বোলিংয়ের প্রধান ভরসা মুস্তাফিজুর রহমানের। বাকিদের বোলিংয়েও নেই চোখে পড়ার মতো কিছুই। চারদিক থেকে সমালোচনার তীর ধেয়ে আসা বাংলাদেশ দলের সামনে এবার ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল।

ইনজুরির কারণে তামিম নিজেও ছিলেন না দ্বিতীয় টেস্ট ও প্রথম ওয়ানডেতে। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তাকে মাঠে পাওয়া অনেকটাই নিশ্চিত। নিজের সুস্থতা জানান দিতেই বুধবারের দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে মঙ্গলবার ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান তামিম। সেখানেই বোলারদের পক্ষ নিয়ে তিনি বলেন, ‘বোলারদের নিয়ে অনেক ধরণের কথা শুনছি। তারা ভালো করতে পারেনি। কিন্তু এটা ভুলে গেলে চলবে না গেলো দুই বছরে বোলাররাই আমাদের অনেক জয়ে সাহায্য করেছে।’

দলে বোলারদের অবদান মনে করিয়ে দিয়ে তামিম বলেন, ‘মুস্তাফিজ (রহমান) ছিল ভারত সিরিজের সব থেকে আলোচিত বোলার কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি তাসকিনও (আহমেদ) অনেকবার ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০১৫ সালে রুবেলের (হোসেন) পারফরমেন্স ভুলে গেলে চলবে না। যখন তারা ভালো করতে পারবে না, আমাদের উচিত তাদের পাশে থাকা এবং সমর্থণ দেওয়া। আমি নিশ্চিত পরের ম্যাচে বা তার পরের ম্যাচে অথবা পরের সিরিজে বোলাররা ফিরবেই।’

সিরিজে এখনও ভালো কিছু করে দেখাতে না পারলেও আশা ছাড়ছেন না বাংলাদেশের হয়ে সব ফরম্যাটে সর্বোচ্চ রানের অধিকারী। বলেন, ‘আমরা ভালো খেলতে পারিনি। ৩০০ রানের বেশি হলে ভালো কিছুর আশা করা যেত। কিন্তু এই কন্ডিশনে এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলাটা কঠিন। শুরুতে উইকেট নিতে না পারা আমাদের কষ্ট দেয় কিন্তু আমরা আমাদের সেরাটাই চেষ্টা করি। বিশ্ব টিকে আছে আশায়, আমরাও সেটাই করছি। আমরা বিশ্বাস করি আমরা পারবো। নতুন দিনের নতুন ম্যাচে আমাদের নতুন পরিকল্পনা থাকবে। ভুলগুলোই আমাদের শেখাবে।’

শুধু বোলারটাই নয়, সমালোচকদের কাঠগড়ায় পেস বোলিং কোচ কিংবদন্তি কোর্টনি ওয়ালশও। গেল সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশের বোলাররা বড় ধরণের কোন সাফল্য এনে দিতে পারেননি। কেন এমন হচ্ছে? ওয়ালশের চেষ্টার কোনো ঘাটতি দেখছেন না তামিম।

তিনি বলেন, ‘ওয়ালশ যে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন, সেটা বিরাট ব্যাপার। আমরা জানি, তিনি খেলোয়াড়ি জীবনে কী করেছেন। একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে তার সঙ্গে আমার কাজ করার সুযোগ হয় কম। তবে যতটুকু দেখি, বুঝি, তিনি তার দায়িত্ব ভালোভাবেই পালন করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, দিন শেষে কে কতটা সেটা কাজে লাগাচ্ছে। আমার কাছে দুনিয়ার সব পরিকল্পনা থাকতে পারে। যদি সেটা কাজে না লাগাই, তবে কাউকে দোষ দেওয়ার পক্ষে আমি নই।’ 

 

প্রিয় স্পোর্টস/আশরাফ