কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বিশেষ সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ছবি প্রিয়.কম

নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির স্থান হবে না: মুহিত

ইয়াহ্ইয়া মারুফ
কন্ট্রিবিউটর, সিলেট
প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০১৮, ২২:২৭
আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৮, ২২:২৭

(প্রিয়.কম) অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে নতুন করে আলোচনা একটি নির্বোধের প্রলাপ ছাড়া কিছুই নয়। খালেদা জিয়ার ভুলের কারণে নির্বাচনকালীন সরকারে তার দলের কারোরই অংশগ্রহণ করার সুযোগ থাকবে না।

সিলেটে আগামী ৩০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর আগম উপলক্ষ্যে ২০ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বিশেষ সভায় এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

একই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার হবে সংবিধান অনুযায়ী, এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।

সভায় মুহিত বলেন, সহায়ক সরকারে যেখানে যত ধরনের দল আছে তাদের একটা মতামত দেয়ার সুযোগ থাকে। সেরকম একটি ব্যবস্থা আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগেই করে দিয়েছেন যেখানে তার কোন বাধ্যবাদকতাও ছিল না। সুতরাং নতুন করে সংলাপ, নতুন করে আলোচনা একটা নির্বোধের প্রলাপ বলা যেতে পারে। এটার কোন যায়গাই নেই এবং এটা নিয়ে আমাদের চিন্তা করারও অবকাশ নেই।

তিনি বলেন, ‘আবারও এই বছরের শেষ দিকে অর্থাৎ ডিসেম্বরের কিছু আগে তিন মাসের জন্য সহায়ক সরকার হবে। সেই সময় আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগে যা করেছিলেন তাই করবেন। তার যে মন্ত্রিসভা আছে তাদের বিদায় করবেন এবং নতুন মন্ত্রী সভা গঠন করবেন। তবে সেখানে খালেদা জিয়া ঠকে গেলেন তার নির্বুদ্ধিতার জন্য। তার কোন প্রতিনিধি সেই সরকারে থাকতে পারবেন না। কেন না তারা কেউই সংসদের সদস্য নন। এতে আমাদের কিছু করার নেই। এটা তাকে গ্রহণ করতেই হবে। তার নির্বুদ্ধিতার জন্য মাসুল তার দলকে দিতেই হবে।’

সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, ‘এদেশের জনগন কি সেই দূর্নীতিবাজ খালেদা জিয়া তারেক রহমানকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। বাংলাদেশের জনগন কোনো চোর, দূর্নীতিবাজ, এতিমের টাকা আত্মসাৎকারী কাউকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। অতএব আগামী নির্বাচনে জয় লাভের ৮০ ভাগ তো দূরের কথা ২০ ভাগ সম্ভাবনাও নেই বিএনপির।’

তিনি বলেন, ‘মওদুদ সাহেব বলেছেন, নির্বাচনের সময় দলীয় সরকার থাকবে কিনা তা প্রধানমন্ত্রীকে ব্যাখ্যা দিতে হবে, মওদুদু সাহেব আপনি জ্ঞানী মানুষ, যদিও আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আপনি জ্ঞানপাপী মানুষ। আপনি নিশ্চয়ই সংবিধান পড়েন, সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে এই দলীয় সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। এটা নিয়ে বিভ্রান্তির কোন সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোন ব্যাখ্যা দেয়ারও প্রয়োজন নেই।’

সভায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে দলীয় নেতাকর্মীদের এক যোগে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।

অন্যান্যদের মধ্যে বিশেষ সভায় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।

প্রিয় সংবাদ/হিরা