কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

খোঁজ পাওয়া ‘মারশিয়ান হ্রদ’ দেখতে যেমন। ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবীতেই ভিনগ্রহের হ্রদ, পানিতে সারে বহু রোগ!

হাসান আদিল
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০১৭, ১৯:৩১
আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৭, ১৯:৩১

(প্রিয়.কম) অদ্ভুত এক হ্রদের খোঁজ পাওয়া গেছে। পৃথিবীতেই তার অবস্থান, তবু কোনোভাবেই পৃথিবীর মনে হয় না! এ হ্রদের পানির এমনই গুণ, যা দিয়ে নাকি সারে বহু ধরণের রোগ! স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস এমনই।

হ্রদটির খোঁজ পাওয়া গেছে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘মারশিয়ান হ্রদ’ বা মঙ্গলগ্রহের হ্রদ।

ধারণা করা হচ্ছে, হ্রদটিতে মঙ্গল গ্রহে বিদ্যমান ছোট ছোট খাদের মতো বহু খাদ বা পুকুর রয়েছে। এগুলোর পানি সামান্য লবণাক্ত হলেও আলাদা আলাদা রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা রয়েছে। 

প্রচলিত বিশ্বাস, হ্রদে থাকা বিভিন্ন রংয়ের পানিওয়ালা খাদ বা পুকুরগুলো শত শত বৈশিষ্ট্যের আকর। এগুলোর প্রত্যেকটির আলাদা আলাদা চিকিৎসা গুন রয়েছে।

আর হ্রদটি অনন্য এই কারণে যে, হ্রদের পানির কোনো বহির্গমনের সুযোগ নেই। হ্রদের পানিতে কোনো প্রবাহও নেই। 

প্রচলিত রয়েছে, প্রতিটি খাদের পানি আলাদা আলাদা রোগ নিরাময়ে সক্ষম। ছবি: সংগৃহীত

প্রচলিত রয়েছে,হ্রদের প্রতিটি খাদ বা পুকুরের পানি আলাদা আলাদা রোগ নিরাময়ে সক্ষম। ছবি: সংগৃহীত

উদাহারণ হিসেবে বলা যায়, একটি খাদ বা পুকুরের পানি আঁচিল সারাতে সাহায্য করতে পারে। অপরদিকে অন্য একটি পুকুরের পানি শরীরের ও সন্ধিস্থলের ব্যথা সারিয়ে তুলতে অধিকতর সহযোগিতা করতে পারে।

কিন্তু অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয়ে হচ্ছে, পৃথিবীর যে কোনো জায়গার চেয়ে হ্রদের সালফেটগুলোর ঘণত্ব সবচেয়ে বেশি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘খোঁজ পাওয়া হ্রদে’র পানি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে ছোটো ছোটো খাদগুলোর মধ্যে প্রাণের অস্তিস্ত্ব রয়েছে।’

তারা আরও বলেছেন, ‘এটা এমন যেন মঙ্গল গ্রহ পৃথিবীতে চলে এসেছে। হ্রদের মধ্যে থাকা উদ্ভট খাদগুলো লালগ্রহে জীবের সন্ধান খুঁজে বের করার সংকেত বহন করছে।’

খুঁজে পাওয়া হ্রদটিতে রয়েছে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শত শত খাদ। ছবি: সংগৃহীত

খুঁজে পাওয়া হ্রদটিতে রয়েছে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শত শত খাদ। ছবি: সংগৃহীত

বিশেষজ্ঞদের মতের সঙ্গে বায়োকেমিস্ট রোল্লি ইউলিয়ামস যোগ করেন, ‘যেকোনো ধরণের প্রাণের সন্ধান মঙ্গলগ্রহে থাকতে পারে, এটা সম্ভব।’

 

সূত্র: মিরর