কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ভয়াবহ ছিনতাইয়ের অভিজ্ঞতা তৈরি করবে পর্যটন বিমুখতা।

বিছানাকান্দিতে ছিনতাইকারীর কবলে পর্যটক

আফসানা সুমী
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০১৭, ২০:৩০
আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৭, ২০:৩০

(প্রিয়.কম) ভ্রমণপ্রিয় মানুষদের প্রকৃতিকে ভালোবাসা এখন আর অব্যবসায়িক, শুধুই উপভোগের কিছু নয়। ভ্রমণকে ঘিরে গড়ে উঠেছে ব্যবসা, অনেকে ভ্রমণকেন্দ্রিক কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করছেন। প্রকৃতিপ্রেমী মানুষেরা শহর পালিয়ে শান্তির খোঁজে ছুটে যান দূর-দূরান্তে। মানুষের এই ভালোবাসাকে পুঁজি করে কিছু মানুষ ফায়দা লুটেই চলেছে। কোনো প্রকার বিশেষ আইন না থাকায় চাদের গাড়ি, ট্রলার, নৌকা ইত্যাদি বাহনের বিশাল অংকের টাকা ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে গন্তব্যে। সখানেই চলছে সিন্ডিকেট। 

সিন্ডিকেটের ডাকাতি তো আছেই সাথে যুক্ত হয়েছে ছিনতাইকারীর দল। ভ্রমণস্থলগুলোর বিভিন্ন পয়েন্টে ওঁত পেতে থাকেন তারা। কখনো হামলা করেন ভোরে গন্তব্যে পৌঁছানো যাত্রীদের ওপর। কখনো বা পথিমধ্যে নিরিবিলি জায়গাগুলোতে বসে থাকেন দল বেঁধে। 

ছিনতাইকারী দলের ভয়াবহতার কবলে যাতে ভ্রমণকারীরা না পড়েন সেদিকে লক্ষ্য রেখে ভ্রমণকারীদের এমন অভিজ্ঞতাগুলো তুলে আনছি প্রিয়.কম এ। আমাদের সচেতনতা হয়ত অনেক বড় বিপদ থেকে রক্ষা করতে সমর্থ্য হবে। 

সম্প্রতি জনপ্রিয় ভ্রমণস্থল বিছানাকান্দি বেড়াতে যান আবদুল্লাহ আল কাফি। সেখানে গিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয় তার। তার নিজ ভাষাতেই সেটি তুলে ধরছি।

বিগত ১৬ নভেম্বর, ২০১৭ তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার রাতে আমি ও আমার ২ বন্ধু (বিশ্ববিদ্যালয়ে একই বিভাগে পড়তাম এবং তাদের মধ্যে একজন বর্তমানে আমার কলিগও বটে) প্রত্যেকের স্ত্রীসহ মোট ছয় জন গ্রীণলাইন বাসে ঢাকা রাজারবাগ থেকে রওনা হলাম সিলেটের উদ্দেশ্যে। সবাই ব্যাংকার হওয়ার সুবাদে শুক্র ও শনিবার ছুটি, তার সাথে রবি ও সোম অফিস থেকে ছুটিসহ মোট ৪ দিনের জন্য সিলেট ও শ্রীমঙ্গল যাচ্ছি। সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে যাওয়ার আগেই হোটেল বুকিং দেওয়া এবং জাফলং, লালাখাল, রাতারগুল, বিছানাকান্দি ও সিলেট থেকে শ্রীমঙ্গল যাওয়ার জন্য একটি নোয়া মাইক্রবাস ঠিক করা ছিল। 

১৭ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ৬.৩০ মিনিটে সিলেটের কদমতলী বাসস্ট্যান্ডে নেমে সিএনজি নিয়ে হোটেলে উঠলাম। পূর্বনির্ধারিত সকাল ৮.০০ টার সময় গাড়ী এসে হাজির হলো এবং আমরা সবাই গাড়ীতে উঠলাম। আজকের গন্তব্য জাফলং ও লালাখাল। মধ্যপথে নাস্তা সেরে গাড়ী চলল গন্তব্যের উদ্দেশ্য। সিলেট-জাফলং সড়কের মধ্যেই লালাখাল অবস্থিত হওয়ায় আমি চাইলাম আগে লালাখাল নেমে তারপর জাফলং যাব। কিন্তু ড্রাইভার বললেন, আসার পথে নামলে ভালো লাগবে। তবে যাওয়ার পথে নামাটাই ভালো ছিল। কেননা জাফলং এর বিভিন্ন স্পটে অনেক হাঁটতে হয়, ক্লান্ত হয়ে পড়ন্ত বিকেল/সন্ধ্যায় লালাখাল ভালো লাগেনা। সারাদিন জাফলং এ কাটানোর পরে লালাখাল আসতে আসতে প্রায় বিকেল ৫ টা বেজে যায়। শীতের দিন ৫টার সময় সূর্য প্রায় ডুবো ডুবো অবস্থায় লালাখাল আর ভালো লাগেনি।

পরের দিন অর্থাৎ ১৮ নভেম্বর রোজ শনিবার নির্ধারিত সময় সকাল ৮.৩০ মিনিটে গাড়ী এসে হাজির। আমরা উঠলাম রাতারগুল ও বিছানাকান্দি যাওয়ার উদ্দেশ্যে। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় রাতারগুল ও বিছানাকান্দি অবস্থিত। দুইটি স্পটই খুব বেশি দিন হয়নি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়েছে। সিলেট থেকে বিছানাকান্দি যাওয়ার পথে রাতারগুল অবস্থিত তবে মূল সড়ক থেকে ৪ কি.মি. ভিতরে। ড্রাইভার বললেন, আসার পথে রাতারগুল নামাটা ভালো হবে। কিন্তু এবার আমি তার সাথে একমত না হয়ে বললাম, আগে রাতারগুল নামব। রাতারগুল ভালো লাগে বর্ষাকালে। তবে শীতকালে একটু অন্যরকম ভালো লাগে। কেননা এ সময়ে জঙ্গলের কিছু অংশে পানি থাকে আর কিছু অংশে থাকেনা। তাই প্রকৃত জঙ্গল ও সোয়াম ফরেস্ট দুইটারই অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। রাতারগুল থেকে বের হয়ে বিছানাকান্দি পৌঁছালাম ২.৩০ মিনিটের দিকে। রাস্তা ভয়ানক খারাপ ছিল। রাস্তায় পিচ ঢালাই ছিল না বললেই চলে। বিছানাকান্দি পৌঁছে মধ্যাহ্নভোজ সেরে বিছানাকান্দির অস্বাভাবিক সৌন্দর্য উপভোগ করলাম।

ভারতে অবস্থিত সাতটি পাহাড়ের মুখে এই বিছানাকান্দি অবস্থিত। অকৃত্রিম সৌন্দর্যের অধিকারী এই বিছানাকান্দির রূপের বর্ণনা দেওয়ার মতো ভাষা আমার নেই এই মুহুর্তে। সন্ধ্যা নামার পূর্বেই আমরা বোট নিয়ে গোয়াইনঘাট এসে পৌঁছালাম। গোয়াইনঘাট থেকে বোটে আধা ঘন্টার মতো সময় লাগে বিছানাকান্দি যেতে। বিছানাকান্দি থেকে রওনা হলাম সিলেটের উদ্দেশ্যে। আমাদের সাথে মিরপুর ও কেরানীগঞ্জের দুইটা দল ছিল, তাদেরও গাড়ী ছিল এবং তিনটা গাড়ীই একত্রে রওনা হলো। তবে আমাদের গাড়ীটা সবার প্রথমে ছিল। গোয়াইনঘাট থেকে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ প্রধান সড়ক পর্যন্ত কিছু দূর পরপরই বাজার বা দোকান ছিল। গোয়াইনঘাট থেকে দেড় ঘন্টার মতো পথ পাড়ি দিয়ে আমাদের গাড়ী যখন তোয়াকুল (গোয়াইনঘাট উপজেলার একটি ইউনিয়ন) বাজারের খুব কাছাকাছি (সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ প্রধান সড়ক থেকে সর্বোচ্চ আধা ঘন্টার দুরত্ব) তখন সময় ৬.২০-৬.৩০ মিনিট। তখন একটি ছোট ব্রিজ পাড় হওয়ার পরই দেখা গেল রাস্তার মাঝে বড় বড় পাথর ফেলানো। এই কথাগুলো আমি যখন লিখছি, ল্যাপটপের কি বোর্ডে একটা একটা চাপ দিচ্ছি আর আমার শরীরের প্রতিটি লোম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। যাই হোক রাস্তার মাঝে বড় বড় পাথর ফেলানো দেখে মনে হচ্ছিল এইবার আমি জীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ মূহুর্তের খুব কাছাকাছি। 

পাথরের সামনে গাড়ী থামার সাথে সাথেই রাস্তার দুই পাশ থেকে ৮-১০ জন (মুখ কাপড় দিয়ে আটকানো) গাড়ীর চারদিক ঘিরে ফেলল তারা। কোনোকিছু বোঝার আগেই ড্রাইভারকে গাড়ী থেকে বের করে গাড়ীর চাবি নিয়ে গেল। সকলের হাতে খুব ধারালো বল্লম আর চাকু ছিল। বল্লমগুলো দেখে মনে হচ্ছিল এইগুলো ১০,০০০ বি.সি. মুভিতে ব্যবহার করা হয়েছিল! একটা কোপ দিলে একত্রে তিন-চার জন মারা যাবে। একজন ড্রাইভারের পিঠে চাকু ধরল আরেক জন ধারালো একটি চাকু নিয়ে গাড়ীর মধ্যে প্রবেশ করল। আমার আগে থেকেই ধারণা ছিল যে তারা আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য হয়ত কাউকে আঘাত করবে যার কারণে আমি প্রায় নির্বাক হয়ে গেছিলাম। একে একে আমরা ছয় জনই আমাদের কাছে যা যা ছিল অর্থাৎ মানিব্যাগ, মোবাইল ও অন্যান্য ব্যগসহ সকল জিনিসপত্র দিয়ে দিলাম। আমাদের সহধর্মিনীদের কাছে কিছু স্বর্ণের জিনিস ছিল সবই খুলে দিতে হলো। বাঙালী নারী, বিয়ের বা এনগেইজমেন্ট এর সময় পাওয়া জিনিস নাকি খুলতে হয়না? যাইহোক। আমাদের স্ত্রীদের মত যেসব বাঙলী নারীরা আছেন যারা এইগুলো সবসময় পরে থাকেন তাদের বলছি আপনাদের এইসব জায়গায় যাওয়ার দরকার নেই, সম্পদ যাবে সাথে যাবেন আপনারাও। 

গাড়ীর ভিতর তন্ন-তন্ন করে খুঁজে যখন আর কিছু পেলেন না তখন ড্রাইভারকে চাবি দিয়ে রাস্তার পাথর সরিয়ে দিলেন। ড্রাইভার গাড়ী টান দিলেন। ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলাম ভাই পিছনের গাড়ীগুলোর কি অবস্থা? উনি বললেন, গাড়ীগুলো ঘুরিয়ে পেছনের দিকে চলে গেছে। কিন্তু রাস্তা এত সরু যে আমাদের পেছনে থাকা হাইএস গাড়ীটা ঘুরানো সম্ভব ছিলনা, ঠিক পেছনের গাড়ীতে থাকা লোকজন ফ্যামিলিসহ (৬-৮ জন) কেরানীগঞ্জ থেকে এসেছেন। জানিনা তাদের কি অবস্থা !!! গাড়ী ছাড়ার পর ড্রাইভারকে বললাম সোজা পুলিশ স্টেশনে যাবেন। ড্রাইভার কথামত সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ প্রধান সড়কে অবস্থিত একটি পুলিশ ফাড়িতে (গোয়াইনঘাট উপজেলার অধীন) নিয়ে গেলেন। দায়িত্বরত এস.আই. বললেন ঐ এলাকা কোম্পানীগঞ্জের অধীনে। তারা জিডি কিংবা মামলা নিবেন না। জানি না বাংলাদেশে এগুলো দিয়ে কেউ কোনোদিন কিছু পেয়েছে কি না। আমি তাকে বললাম, 'ভাই, এটা তোয়াকুল বাজারের পাশেই আর এটাতো গোয়াইনঘাটের মধ্যেই।' তিনি বললেন, 'না। আপনাদের ঘটনাটা যেখানে ঘটেছে ঐ জায়াগাটা কোম্পানীগঞ্জের অধীন।' তিনি যেভাবে বলছিলেন মনে হলো তিনি আমাদের সাথে ছিলেন! পরে অবশ্য জানতে পারলাম জায়গাটা গোয়াইনঘাটের অধীনেই ছিল। এস.আই. সাহেবকে আমার পরিচয় দিলাম এবং বললাম আমার হলের সাবেক রুমমেট ডিবিতে সিনি.এ.সি হিসেবে আছে, আমার প্রাক্তন কলিগ বেশ কয়েকজন এ.এস.পি এবং আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব ঘনিষ্ট কয়েকজন বন্ধু এ.এস.পি.। কোন কিছুর মাধ্যমেই তাকে জিডি করার জন্য রাজি করাতে পারলাম না। নিজেকে একটু হীনমন্য ভাবায় আর কাউকে ফোন দেওয়া হলো না। 

পুলিশ ফাড়ি থেকে কোম্পানীগঞ্জ থানার দূরত্ব প্রায় দুই ঘন্টা হওয়ায় আর জিডি করতে যাওয়া হলো না। পরের দিন সকালে শ্রীমঙ্গলের পরিবর্তে ঢাকার উদ্দেশ্যে রহনা হলাম।"

এর আগে ভোরবেলা সায়েদাবাদ পৌঁছে সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন একদল ভ্রমণকারী। এমন ঘটনা আসলে প্রায়ই ঘটছে। সব হয়ত প্রকাশিত হচ্ছে না পত্রিকার পাতায়। প্রশাসনকেও এক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক আচরণ করতে দেখা যাচ্ছে না। 

পর্যটনক্ষেত্রের বিকাশ একটি দেশের অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে। অনেক দেশই নিজেদের আয়ের একটি বড় অংশ পাচ্ছেন এই খাত থেকে। সেখানে আমাদের দেশে যেন চলছে হরিলুট। এইসব জায়গার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কি এতই কঠিন? বরং আগের তুলনায় যেন এমন ঘটনা বেড়েই যাচ্ছে। শহুরে দমবন্ধ করা জীবন থেকে বেরিয়ে মানুষ চায় একটু শান্তি। সেই চাওয়ার মূল্য তাদের দিতে হচ্ছে খুব বড় অংকে। ব্যবসায়ীদের হয়রানি রোধে যেমন কোনো পদক্ষেপ নেই তেমনই নেই ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারের পদক্ষেপ। বেশিরভাগ জায়গার পথ-ঘাটও অনেক খারাপ। সেগুলো মেরামত করার কোনো উদ্যোগ নেই। অথচ এই সব জায়গার খুব কাছেই সেনাক্যাম্প এবং জায়গাগুলো ঘুরে দেখার ব্যাপারে তাদের অসংখ্য নীতিমালার মধ্য দিয়েই যেতে হয় ভ্রমণকারীদের। বিনিময়ে যদি এভাবে সব হারিয়ে ঘরে ফিরতে হয় তাহলে বোঝাই যাচ্ছে কোথায় যেতে চলেছে আমাদের পর্যটন খাত!

আবদুল্লাহ আল কাফি তার ভয়ংকর অভিজ্ঞতা থেকে তার পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন- 

১. বাংলাদেশের পর্যটন এখনো প্রাতিষ্ঠানিককরণ হয়নি (আমার ধারণা এলাকাবাসীর মাধ্যমেই ডাকাতি হয়েছে এবং আমাদের ড্রাইভারও জড়িত ছিলেন)। 

২. ভ্রমণকালে বাঙালী নারীর বাঙালিত্ব কিছুটা পরিহার করতে হবে। 

৩. দুর্গম জায়গায় যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য এবং এলাকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম্বার নিয়ে রাখুন (ফিরতে বিলম্ব হলে তাদের সহায়তা নেওয়ার জন্য)। 

৪. দুর্গম জায়গা থেকে সন্ধ্যার পূর্বে অবশ্যই ফিরে আসুন (বাংলাদেশের দুর্গম স্থানে বসে সূর্যাস্ত দেখা আপনাদের সাথে মানায় না)।

তার বক্তব্য থেকে বোঝাই যাচ্ছে তিনি কতটা মর্মাহত এবং রাগান্বিত। এভাবেই পর্যটক হারাব আমরা। দেশের মানুষ দেশে না বেড়িয়ে চলে যাবেন বাইরে ভ্রমণে। বিদেশী পর্যটকরাও আসবেন না। দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে নিরাপত্তা ও হয়রানি থেকে পর্যটকদের মুক্ত করতে পারলেই একমাত্র এই খাতকে বাঁচানো সম্ভব। ভ্রমণ হোক নিরাপদ, আনন্দের।

ড. জিনিয়া রহমান

প্রিয় ট্রাভেল সম্পর্কে আমাদের লেখা পড়তে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেইজে। যে কোনো তথ্য জানতে মেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়। ভ্রমণ বিষয়ক আপনার যেকোনো লেখা পাঠাতে ক্লিক করুন এই লিংকে - https://www.priyo.com/post।