কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

শিশুকে নিয়ে ভ্রমণ হোক নিশ্চিন্ত। ছবি- সংগৃহীত

শিশুকে নিয়ে ভ্রমণ সহজ করবে এই কাজগুলো

আফসানা সুমী
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:৩১
আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:৩১

(প্রিয়.কম) শিশুরা বাইরে যেতে খুবই পছন্দ করে। কিন্তু সবসময় তাদেরকে মনোযোগ না দিলে আবার হয় না! কিছু সময় পরই তারা কান্নাকাটি শুরু করে, বিরক্ত হয় এবং করে। বয়সে একটু বড় হলে একঘেয়ে বোধ করতে থাকে। আসলে শিশুদের বেড়ানোর জন্য আছে আলাদা জায়গা আর বড়দের আলাদা। আপনি যদি আপনার পছন্দের জায়গায় ছোট্ট শিশুটিকে নিয়ে যান তার ভালো লাগবে না এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সবসময় তো আর শিশু পার্ক, জাদুঘর যেতে ইচ্ছা করে না! নিজের প্রিয় জায়গাগুলোতেও যাওয়া চাই। কি করে শিশুকে সামলাবেন তখন? জেনে নিন কিছু টিপস-

শিশুর জন্য খেলার ব্যবস্থা রাখুন

গাড়িতে দীর্ঘ সময়ের যাত্রা শিশুকে বিরক্ত করতে পারে। তার জন্য কিছু খেলার ব্যবস্থা রাখুন। ছোট বল, খেলনা, লেগো ইত্যাদি রাখতে পারেন। এমন কিছু রাখুন যা সে পছন্দ করে এবং সেটা নিয়ে বেশ খানিকটা সময় ব্যস্ত থাকে। তবে যাই দিন না কেন সম্পূর্ণ পথ নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে সেই খেলনার ভরসায়। তাই বৈচিত্র রাখুন।

পছন্দের খাবার

যাত্রা পথে হোক বা হোটেলে শিশুর পছন্দের কিছু খাবার সব সময় সাথে রাখুন। শিশুরা ক্ষিদে পেলে সব সময় বলে না। রেগে যায়, কান্নাকাটি করে। তারা আমাদের মতো ক্ষিদে সহ্য করতে পারে না। তাই কিছু খাবার সাথেই রাখুন। মজার খাবার তাদের মনও প্রফুল্ল রাখবে।

জোর করবেন না

বাচ্চাদের যত জোর করবেন ততই তারা আপনার ওপর বিরক্ত হতে থাকবে। যথা সম্ভব তাদেরকে মানিয়ে কাজ আদায়ের চেষ্টা করুন। নিজের ইচ্ছেমত জোর করে কারও সাথে মিশতে বা কোথাও যেতে বাধ্য করবেন না। শিশুরা অনুকরনপ্রিয়। আপনার চাওয়াটি ভালো লাগলে সে নিজেই সেটা করতে চাইবে। তার মতো করে তাকে আগ্রহী করে তুলুন।

শিশুর সাথে কথা বলুন

শিশুটিকে সময় দিন। হ্যাঁ, ভ্রমণে যাচ্ছেন বলে আপনার নিজের মতো কিছু সময়ের তো প্রয়োজন আছেই। তবে শিশুকে একা ছেড়ে দিলে সে একা বোধ করবে। পরে তাকে নিয়ে আবার এমন বেড়াতে আসা কষ্টকর হবে। বেশিক্ষণ একা থাকাটা মানসিক ভাবেও তাকে বিষাদগ্রস্ত করতে পারে। সে হয়ত নিজেকে অবহেলিত ভাবতে শুরু করবে।

শিশুর আগ্রহ তৈরি করুন

খেলনা বা কার্টুন চলচিত্রের বাইরে শুধু ঘুরে বেড়ানোও যে মজা এই বিষয়টি শিশুকে বুঝতে দিন। আপনি যা যা করছেন সেখানে তাকেও অংশ গ্রহণ করতে দিন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যেটা হয়, শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা এতই উদ্বিগ্ন থাকি যে সমুদ্রে গোসল করতে দেওয়া তো দূরের কথা সুইমিং পুলেও নামতে দিতে চাই না। আপনার শিশুকে ধূলো-বালি মাখা পথে হাঁটতে দিন, খেলতে দিন, সৈকতে বালির প্রাসাদ তৈরি করতে দিন। তাহলে আপনার সাথে বেড়ানোটা উপভোগ্য হবে তার জন্যেও।

শিশুর সঙ্গী

যেখানে বেড়াতে যাচ্ছেন সেখানেও হয়ত আরও শিশুদের দেখা পাবেন। শিশুকে মিশতে বাঁধা না দিয়ে বরং সুযোগ করে দিন। তবে জোর করবেন না। বা ভুলেও অন্য শিশুদের সাথে তুলনা করে তাকে খাটো করবেন না। সঙ্গী পেলে সে আপনাকে কম বিরক্ত করবে।

শিশুর পোশাক

ভ্রমণে শিশুর পোশাক খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঋতু বুঝে আরামদায়ক পোশাক পরতে দিন। খেয়াল করুন শিশু কেমন থাকতে স্বাচ্ছন্দবোধ করছে।

শিশুর ব্যাগ

আপনার ব্যাগ গোছানোর ক্ষেত্রে যেমন চেকলিস্টের সাহায্য নেবেন তেমনই শিশুর ব্যাগ গোছানোর ক্ষেত্রেও একটা তালিকা করে ফেলুন। তার জন্য দরকারি সব গুছিয়ে নিন। বাড়ির স্বাচ্ছন্দ্য ভ্রমণে দেওয়া হয়ত সম্ভব নয়, কিন্তু এমন অনেক কিছু আছে যা সাথে না থাকলে তার কষ্ট হবে। ছোট খেলনা, বই, দরকারি ঔষধ, আঁকা- আঁকির খাতা এগুলো বড়দের বেলায় দরকারি না হলেও শিশুটির বেলায় কিন্তু দরকারি।

উপরের টিপ্সগুলো যেকোনো বয়সী শিশুর জন্যই প্রযোজ্য। শারিরিক এবং মানসিক পরিচর্যার বয়স এটি। এ সময় আপনার ভালোবাসার সন্তানকে যেভাবে গড়বেন সে সেভাবেই গড়ে উঠবে। গবেষণায় দেখা গেছে, ছোট বয়স থেকে ভ্রমণ করছে এমন শিশুরা বেশি মেধাবি হয়। তারা যে কোনো পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নিতে পারে সহজে। তাই শিশুকে রেখে না, একটা বয়সের পর তাকে নিয়েই ভ্রমণ করুন। তাকেও করে তুলুন ট্রাভেলার। শুভ ভ্রমণ।

সম্পাদনাঃ ড. জিনিয়া রহমান 

প্রিয় ট্রাভেল সম্পর্কে আমাদের লেখা পড়তে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেইজে। যে কোনো তথ্য জানতে মেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়। ভ্রমণ বিষয়ক আপনার যেকোনো লেখা পাঠাতে ক্লিক করুন এই লিংকে - https://www.priyo.com/post।