প্রাকৃতিক সামগ্রী ব্যবহারে চুল হয়ে ওঠে স্বাস্থোজ্জ্বল ও ঝলমলে। মডেল: শাহনাজ সুমি, ছবি: রিপন
ঝলমলে স্বাস্থোজ্জ্বল চুলের অধিকারী হতে চান?
আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:৩৩
(প্রিয়.কম) বাঙালি নারী মানেই চুলের বাহার থাকা বাঞ্ছনীয়। স্বাস্থোজ্জ্বল ও সুন্দর চুল পেতে আমরা কতো তেল, শ্যাম্পু এবং ট্রিটমেন্ট ক্রিম ব্যবহার করে থাকি। অথচ প্রাকৃতিক কিছু উপাদান ব্যবহার করেই কিন্তু ঝলমলে চুলের অধিকারী হওয়া যায়। এটা জানলেও মানতে চাইনা অনেকে! রাসায়নিক বাহারি উপাদানসমূহ ব্যবহার না করে একটু সময় বের করে প্রাকৃতিক সামগ্রীর প্রতি মনোযোগ দিন। রাতারাতি না হলেও একটি নির্দিষ্ট সময় পর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই আপনার চুল হয়ে উঠবে স্বাস্থোজ্জ্বল ও সুন্দর।
চলুন তবে টিপসগুলো জেনে আসা যাক-
টিপস ১#
শ্যাম্পু করার আগে পুরো চুলে প্রি-শ্যাম্পু ট্রিটমেন্ট হিসেবে 'অ্যাপল সাইডার ভিনেগার' লাগাতে পারেন। এতে করে রাসায়নিক প্রোডাক্টের অবশিষ্টাংশ দূর হবে। আপনি চাইলে শ্যাম্পু করার পর রিন্স হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন এটি। তাতে করে চুলে আলাদা এক ধরণের জেল্লা আসবে।
টিপস ২#
গোসলের সময় পুরো চুল শ্যাম্পু না করে গোড়া থেকে মধ্যাংশ পর্যন্ত করুন। চুল ধুয়ে ফেলার সময়ে শ্যাম্পু বাকী চুলও পরিষ্কার করে দেবে।
টিপস ৩#
আপনি যেই শ্যাম্পু ও কন্ডিশনারই ব্যবহার করেন না কেন খেয়াল করবেন সেখানে যেন সিলিকন, সালফেট ও অ্যালকোহল না থাকে। সালফেট আপনার চুলের প্রাকৃতিক তেল শুষে নেয় এবং চুল অসম্ভব শুষ্ক হয়ে যায়। সিলিকন এবং অ্যালকোহল চুলকে পাতলা করে ফেলে।
টিপস ৪#
ভেজা চুল আঁচড়ানোর কোন প্রয়োজন নেই। চুল ভঙ্গুর হওয়ার অন্যতম কারণ এটি।
টিপস ৫#
মধু চুলের পরম বন্ধু হিসেবে কাজ করে। এটি চুলকে নরম ও মোলায়েম করে তোলে। সাথে সাথে এটি স্ক্যাল্পের খুশকি প্রতিরোধ করে।
টিপস ৬#
গরম পানি দিয়ে চুল ধোবেন না কখনো। ঠাণ্ডা পানি চুলের কোমলতা ও জেল্লা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এতে করে দারুণ কন্ডিশনিং ও হয়।
টিপস ৭#
আপনার চুল যদি মারাত্মক শুষ্ক হয়ে থাকে, তবে আজই নারকেল তেল ম্যাসাজ করুন চুলে। বিশেষ করে আগার দিকটাতে। অতঃপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে সুন্দরভাবে আঁচড়ে ফেলুন। প্রতিদিন ব্যবহার করা সম্ভব না হলেও সপ্তাহে অন্তত তিন ব্যবহার করুন।
টিপস ৮#
ঘুমানোর সময় সিল্কের তৈরি বালিশের কভার ব্যবহার করুন। এতে করে ঘুমের মধ্যে নড়াচড়া করলেও চুলের খুব একটা ক্ষতি হবে না।
টিপস ৯#
হেয়ার স্টাইল করার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি যেমন হেয়ার ড্রায়ার, কার্লিং আয়রন, স্ট্রেইটনার চুলকে প্রচণ্ডভাবে শুষ্ক করে তোলে। তাতে ধীরে ধীরে চুল নিষ্প্রাণ ও নির্জীব হয়ে যায়। এগুলো পারতপক্ষে ব্যবহার না করার চেষ্টা করুন। কিন্তু যদি করতেই হয় তবে হিট-নিরোধক স্প্রে ব্যবহার করে নিন।
টিপস ১০#
আপনি হয়তো সাঁতার কাটতে খুব ভালোবাসেন। এটি একটি ভালো ব্যায়াম ও বটে! কিন্তু পুলের পানিতে থাকা ক্লোরিন চুলের ভীষণ ক্ষতি সাধন করে। এক্ষেত্রে সাঁতার কাটতে নামার আগে চুলে কন্ডিশনার লাগিয়ে নামুন। তাহলে চুলে ক্লোরিনের পরিবর্তে পানি শোষিত হবে। অথবা চুলে ক্যাপ ব্যবহার করুন।
এগুলোর সঙ্গে আরও কিছু নিয়ম মানতে হবে। যেমন- প্রতিদিন শ্যাম্পু করা যাবে না, নিয়মিত চুল প্রাকৃতিক বিভিন্ন তেল যেমন বাদাম তেল কিংবা জলপাই তেল দিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে এবং অবশ্যই প্রতিদিন সুষম খাবার খেতে হবে।
সবশেষে একটাই কথা, চুলের জন্য আগে যদি রাসায়নিক সামগ্রীও ব্যবহার করে থাকেন এখন থেকে অন্তত প্রাকৃতিক সামগ্রীর দিকে নজর দিন। কিছুদিন নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে ফলাফল দেখে আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন।
সূত্র: Buzzfeed
সম্পাদনা: কে এন দেয়া