কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টিকাদান কর্মসূচি চলছে। ছবি: সংগৃহীত
রোহিঙ্গা শিশুদের মাঝে টিকাদান কার্যক্রম শুরু
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৭, ২০:২৭
(প্রিয়.কম) কক্সবাজারে ১২টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ছয় সপ্তাহ থেকে ৬ বছর বয়সী রোহিঙ্গা শিশুদের মাঝে ডিপথেরিয়া ও অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে সরকারিভাবে এ টিকা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জিএভিআই (দি ভ্যাক্সিন এলায়ান্স) টিকা কার্যক্রমে বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করছে।
বর্ধিত এই টিকা কার্যক্রমের আওতায় কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার মোট ২ লাখ ৫৫ হাজার শিশুকে টিকাদান করা হবে। অন্যদিকে সরকার ও স্বাস্থ্য খাতের অন্যান্য অংশীদাররা ডিপথেরিয়ার চিকিৎসাসহ এ রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
আজ ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় প্রাপ্ত ইউনিসেফের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ইউনিসেফের বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেগবেদার বলেছেন, ‘ডিপথেরিয়া রোহিঙ্গাদের মতো সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে থাকা জনগোষ্ঠীর মাঝেই বেশি দেখা দেয়; বিশেষ করে যাদের নিয়মিত টিকা দেয়া থাকে না। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শিশুরা যে চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, এই রোগের বিস্তার তারই ইঙ্গিত। এই পরিস্থিতিতে প্রাণঘাতী এ রোগের হাত থেকে তাদের রক্ষা করতে অবিলম্বে উদ্যোগ নিতে হবে এবং টিকাদান কর্মসূচি এক্ষেত্রে একটি কার্যকর প্রতিরোধক ব্যবস্থা।’
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, টিকা কর্মসূচিতে শিশুদেরকে পেন্টাভ্যালেন্ট টিকা দেওয়া হবে; যা তাদের ডিপথেরিয়া, পারটুসিস, টিটেনাস, হেমোফিলিস ইনফ্লুয়েঞ্জা ও হেপাটাইটিস-বি থেকে রক্ষা করবে। এ ছাড়া তাদের নিউমোকোকাল কনজুগেট ভ্যাকসিনসহ (পিসিভি) এবং মুখে খাওয়ানো পোলিও টিকাও দেওয়া হবে। এই কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য দি সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া ৩ লাখ পেন্টাভ্যালেন্ট টিকা বিনামূল্যে সরবরাহ করেছে।
আগামী সপ্তাহে ৭ থেকে ১৫ বছর বয়সী সব রোহিঙ্গা শিশুকে ও ১০ হাজার স্বাস্থ্য ও উন্নয়ন কর্মীদের তিন দফায় টিডি (টিটেনাস ডিপথেরিয়া) দেয়া হবে।
প্রিয় সংবাদ/শান্ত