কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মুশফিকুর রহিম। ছবি: সংগৃহীত

মুশফিকের দাপটে বাংলাদেশের লড়াকু সংগ্রহ

সামিউল ইসলাম শোভন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০১৭, ১৮:০৮
আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৭, ১৮:০৮

(প্রিয়.কম) তামিম-মুস্তাফিজ দলে নেই। সঙ্গে দুই টেস্টে হারের ক্ষত। সবমিলিয়ে কিম্বার্লিতে প্রথম ওয়ানডেতে শুরুটা কেমন করবে বাংলাদেশ তা নিয়ে তুমুল আলোচনা ছিল। কিন্তু আগে ব্যাট করতে নেমে পুরো আলোটা নিজের দিকে টেনে নিলেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। সাকিবের রেকর্ড ও মুশফিকের সেঞ্চুরি মিলিয়ে বাংলাদেশ গড়ল ছয় উইকেটে ২৭৮ রানের ইনিংস।

যে ডায়মন্ড ওভালে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা, সেই এলাকাতেই অবস্থিত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হীরার খনি ‘দ্য কিম্বার্লি মাইন’। সেদিক থেকে, ব্যাট হাতে হীরা ফলানো রান পাবেন মুশফিকরা এমন অদ্ভুত ধারণা মনে এলে খুব একটা হাস্যকর হওয়ার কথা নয়।

ব্যাট হাতে নেমে সেটাই হল শেষপর্যন্ত। তামিমের ইনজুরি আর সৌম্য সরকারের অনুপস্থিতিতে ওপেনিং করার সুযোগ পেলেন ইমরুল কায়েস ও লিটন কুমার দাস। তাদের হাত ধরে শুরুটা খারাপ করেনি বাংলাদেশ। প্রথম উইকেটে ৪৩ রান পায় বাংলাদেশ দল। ওপেনার ইমরুল কায়েস ৩১ রানের মাথায় কট বিহাইন্ডের শিকার হন ডুয়াইন প্রিটোরিয়াসের বলে।  আরেক ওপেনার লিটন ফিরেছেন ২৪ রানের ব্যবধানে। সাদা পোশাকের মতো রঙিন পোশাকেও বল হাতে ছড়ি ঘোরাবেন প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদা, সেটা যেন মনে করিয়ে দিলেন ২১ রানের ইনিংস খেলা লিটনকে আউট করে।

বড় ইনিংস খেলতে পারেন কিংবা না পারেন, বিশ্বজুড়ে সাকিবের সমর্থকরা তাকিয়ে ছিল মাত্র ১৭ রানের জন্য। সেটা করতে পারলেই নতুন রেকর্ড হবে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের। ব্যক্তিগত ২৯ রানের মাথায় প্রোটিয়া স্পিনার ইমরান তাহিরের বলে আউট হওয়ার আগে সেই রেকর্ড় ছুঁয়ে দেখলেন সাকিব। অলরাউন্ডার হিসেবে তিনি দ্রুততম পাঁচ হাজার রান ও ২০০ উইকেটের মাইলফলক পার করলেন। মাত্র ১৭৮ ওয়ানডে খেলে এই কীর্তি গড়লেন তিনি। এর মধ্যে দিয়ে পেছনে ফেললেন পাকিস্তানের আব্দুল রাজ্জাক, জ্যাক ক্যালিস, শহীদ আফ্রিদি ও সনাৎ জয়সুরিয়াকে।

সাকিবের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-মুশফিকুর রহিমের ধারাবাহিক আক্রমণে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও কোণঠাসা হয়েছে স্বাগতিক দলের বোলাররা। এই উইকেটে ৭১ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি পায় বাংলাদেশ। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকাও টের পায় ওয়ানডেতে কতটা শক্তিশালী হতে পারে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ৩৯তম ওভারে ব্যক্তিগত ২৬ রানে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রাখেন টেস্ট অধিনায়ক মুশফিক। তুলে নেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। দুই টেস্টের সমালোচনার ধকলে সেঞ্চুরির উদযাপনেও নিষ্প্রাণ ছিলেন মুশফিক। তবে হ্যাঁ, জবাবটা ঠিকই দিলেন। দলীয় না হলেও, ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে সেই সমালোচনায় খানিকটা হলেও মানসিক শান্তির পরশ বুলিয়ে দিল।

মাহমুদউল্লাহর পর নাসির হোসেন ১১ রানে ফিরে গেলে ১১০ রানে অপরাজিত থেকেই ইনিংস শেষ করেন মুশফিক। সঙ্গে অভিষিক্ত পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ১১ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। মুশফিকের ইনিংসটিই দলীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওপেনার ইমরুলের ৩১ রানের ইনিংসটি। বল হাতে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নিয়েছেন প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদা। ডুয়াইন প্রিটোরিয়াস দুটি ও ইমরান তাহির একটি উইকেট নিয়েছেন।  

প্রিয় স্পোর্টস/শান্ত মাহমুদ