কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মাত্র পাঁচ রানের জন্য হলো না হাফ সেঞ্চুরি। নাসির হোসেন, ছবি: প্রিয়.কম

মিডল অর্ডারের সফলতায় বাংলাদেশের ৩০৫

সামিউল ইসলাম শোভন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১২:০২
আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১২:০২

(প্রিয়.কম, চট্টগ্রাম থেকে) দলীয় ১১৭ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট হারালো বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টেনে তুললেন মুশফিকুর রহিম থেকে শুরু করে নাসির হোসেন পর্যন্ত। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে মিডল অর্ডারের সাফলতায় ভর করে ৩০৫ রান তুলতে সমর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে, মোট ১০ উইকেটের সাতটিই নিয়েছেন অজি ডানহাতি স্পিনার নাথান লায়ন।

চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ দল। ব্যাটে নেমে পুরো ইনিংসজুড়ে প্রতি মুহূর্তে হারাতে হয়েছে লায়নের ঘূর্ণিপাকে। তামিম ইকবাল থেকে শুরু করে দ্বিতীয় দিনের তাইজুল ইসলাম পর্যন্ত, সাতজন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়েছেন তিনি।

তিন স্পিনার ও এক পেসার নিয়ে শুরু করেছিলো অস্ট্রেলিয়া। অতীতে ১৯৩৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজে এই ঝুঁকি নেয় অজিরা। শুধু তাই নয়, ২০০৬ সালে এই জহুর আহমেদেই তিনজন স্পিনার নিয়ে সফল হয়েছিলো তৎকালীন অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিং। সেবার বাংলাদেশ হেরেছিলো এক ইনিংস ও ৮০ রানে। ১১ বছরের মাথায় একই পথ অনুসরণ করলেন স্টভেন স্মিথ। সফলও হলেন তিনি। মোট ১০ উইকেটের সাতটিই নিয়েছেন লায়ন। আরেক স্পিনার অ্যাস্টন অ্যাগার নিয়েছেন দুই উইকেট।

পাঁচ উইকেটে ১১৭ রান করা বাংলাদেশ প্রথম দিনেই পথ খুঁজে পেয়েছিলো অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির রহমানের ব্যাটে। শেষ বিকেলে তাদের অনবদ্য ১০৫ রানের জুটি আলো দেখায় স্বাগতিকদের। বিশেষ করে সাকিব-তামিমের ব্যর্থতার দিনে এমন জুটিই খুঁজছিলো বাংলাদেশ। পরবর্তীতে সাব্বির ব্যক্তিগত ৬৬ রানের মাথায় দূর্ভাগ্যবশত স্ট্যাম্পিংয়ের কবলে পড়েন।

এরপর নাসিরকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেন মুশফিক। ততক্ষণে মুশফিকও পার করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় দিনে শুরুতেই ব্যক্তিগত ৬৮ রানের মাথায় লায়নের বলে বোল্ড হন মুশফিক। এটাই ইনিংসের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান। দুই বছর পর টেস্টে ফেরা নাসির ব্যক্তিগত ৪৫ রানের মাথায় আউট হন। পরের উইকেটেই রান আউটের কবলে পড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ।  তার ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। শেষপর্যন্ত তাইজুল ইসলামের সঙ্গে উইকেটে ছিলেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। তাইজুল নয় রানে আউট হলে শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।