কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন (মাঝে)। ছবি: প্রিয়.কম

আইনি নোটিশে বিচলিত নয় বিসিবি

মুশাহিদ মিশু
Writer
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:৫৯
আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:৫৯

(প্রিয়.কম) আগামী দুই অক্টোবর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বার্ষিক সাধারণ সভা ও বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়েছে। কিন্তু বিসিবির সভাকে আদালতের রায়ের পরিপন্থি উল্লেখ করে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পরিষদকে অবৈধ উল্লেখ করে সভা বন্ধ করার জন্য আইনি নোটিশ পাঠান স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন। অন্যদিকে আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান রেখে সাধারণ সভা না করার জন্য বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানকে চিঠি দিয়েছেন সাবের হোসেন চৌধুরী।

মোবাশ্বের হোসেনের আইনি নোটিশ ও বিসিবির সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর চিঠির প্রেক্ষিতে কী ভাবছে বিসিবি? গত কয়েকদিনে বিসিবির অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। আইনি নোটিশ ও বিসিবির সাবেক সভাপতির পাঠানো চিঠির পর বৃহস্পতিবার নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন।

এ দু'টি ঘটনায় বিসিবি মোটেও বিচলিত নয় উল্লেখ করে পাপন বলেন, '২০১২ সালে সংশোধিত গঠনতন্ত্র অবৈধ, এটা কোথায় বলা হয়েছে? কোনো রায়ে তো সেটা উল্লেখ নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেটের দায়িত্ব এখনও আমাদের হাতে। যত দিন থাকবে, তত দিন অগ্রযাত্রা ধরে রাখার চেষ্টা করব। যদি কেউ প্রতিবন্ধকতা তৈরির চেষ্টা করে, তাতে আমরা বিচলিত নই। আমরা কোনো বেআইনি কিছু করব না এটা নিশ্চিত।'

বিসিবি প্রধানকে পাঠানো চিঠিতে ২০১২ সালে সংশোধিত বিসিবির গঠনতন্ত্র ও সে অনুযায়ী করা কাউন্সিলর তালিকাকে অবৈধ উল্লেখ করেন সাবের হোসেন চৌধুরী। কিন্তু এ নিয়ে সাবের হোসেনকে উল্টো প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন বিসিবি সভাপতি, 'সুপ্রিম কোর্ট থেকে সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন, ২০১২ সালের সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন হবে। ওই গঠনতন্ত্রে কাউন্সিলর হয়েছেন সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি যদি গঠনতন্ত্রই না মানেন, তাহলে কাউন্সিলর হলেন কীভাবে? সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি নিষ্পত্তি করে বলে দিয়েছেন, আমরা পুরোপুরি বৈধ।'

২০১২ সালের গঠনতন্ত্র সংশোধন করা দরকার হলে সেটাও করা হবে জানিয়ে বিসিবি প্রধান বলেন, 'ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কাছেও আমরা গ্রহণযোগ্য এবং অনুমোদিত। গঠনতন্ত্রে কোনো পরিবর্তন আনা দরকার হলে আইসিসির নিয়ম মেনে এবং এজিএম ডেকে সেটা করে অনুমোদনের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে পাঠানো হবে।'

প্রিয় স্পোর্টস/কামরুল