কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বারী সিদ্দিকী/ ছবি: সংগৃহীত

ডাক্তার বলেছেন, ‘দোয়া করেন, এছাড়া কিছু করার দেখছি না’

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৫:০০
আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৫:০০

(প্রিয়.কম) বাংলাদেশের সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও বংশী বাদক বারী সিদ্দিকীকে গত ১৮ নভেম্বর থেকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছে। এদিকে ১৯ নভেম্বর সকাল থেকে বারী সিদ্দিকীর শারীরিক অবস্থা জানার জন্য তার ছেলে সাব্বির সিদ্দিকীর মুঠোফোনে বহুবার যোগাযোগের চেষ্টা করার পরও তাকে পাওয়া যায়নি।

কিন্তু শিল্পীর ছেলে সাব্বির সিদ্দিকীর বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, জনপ্রিয় এ সংগীতশিল্পীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে।
সাব্বির সিদ্দিকী বলেছেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম ১দিন যাওয়ার পরে বাবার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হবে। কিন্তু এখন চিকিৎসক বলছেন অবস্থা আরও খারাপের দিকে। চিকিৎসক বলেছেন, দোয়া আর অপেক্ষা করা ছাড়া আপনাদের আর কিছুই করার দেখছি না। সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।’

এদিকে চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, বারী সিদ্দিকীর দুটি কিডনিই অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এছাড়া তিনি বহুমূত্র রোগে ভুগছেন।

বারী সিদ্দিকী ১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ১২ বছর বয়সেই নেত্রকোনার শিল্পী ওস্তাদ গোপাল দত্তের অধীনে তার আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। তিনি ওস্তাদ আমিনুর রহমান, দবির খান, পান্নালাল ঘোষসহ অসংখ্য গুণীশিল্পীর সরাসরি সান্নিধ্য লাভ করেন।

সত্তরের দশকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গে যুক্ত হন বারী বারী সিদ্দিকী। ওস্তাদ গোপাল দত্তের পরামর্শে ক্লাসিক্যাল মিউজিকের উপর পড়াশোনা শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে বাঁশির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন ও বাঁশির ওপর উচ্চাঙ্গসঙ্গীতে প্রশিক্ষণ নেন। নব্বইয়ের দশকে ভারতের পুনে গিয়ে পণ্ডিত ভিজি কার্নাডের কাছে তালিম নেন। দেশে ফিরে এসে লোকগীতির সাথে ক্লাসিক মিউজিকের সম্মিলনে গান গাওয়া শুরু করেন।

১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে বারী সিদ্দিকী প্রখ্যাত সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘রঙের বাড়ই’ নামের একটা ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে জনসমক্ষে প্রথম সংগীত পরিবেশন করেন। এরপর ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে হুমায়ূন আহমেদের রচনা ও পরিচালনায় নির্মিত ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ চলচ্চিত্রে ৭টি গানে কণ্ঠ দেন। এর মধ্যে ‘শুয়া চান পাখি’ গানটির জন্য তিনি অতিদ্রুত ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
প্রিয় বিনোদন/গোরা