কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বারী সিদ্দিকী। ছবি: সংগৃহীত।

একজন সুর সাধকের প্রস্থান

সিফাত বিনতে ওয়াহিদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০১৭, ০৩:২৪
আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৭, ০৩:২৪

(প্রিয়.কম) ‘এই পৃথিবী যেমন আছে তেমনই ঠিক রবে/সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে’- নিজের গাওয়া এ গানের মতোই অগণিত ভক্ত-অনুরাগীদের কাঁদিয়ে চলে গেলেন প্রখ্যাত আধ্যাত্মিক-লোকসংগীত শিল্পী ও বংশী বাদক বারী সিদ্দিকী

২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রিয়.কমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন তার পুত্র সাব্বির সিদ্দিকী।

গত ১৭ নভেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। আধা ঘণ্টার মধ্যে তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সে সময় তিনি অচেতন ছিলেন। এরপরই তাকে দ্রুত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে লাইফ সাপোর্ট দেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লাইফ সাপোর্টে ছিলেন জনপ্রিয় এ শিল্পী।

বারী সিদ্দিকী ১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ১২ বছর বয়সেই নেত্রকোনার শিল্পী ওস্তাদ গোপাল দত্তের অধীনে তার আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। তিনি ওস্তাদ আমিনুর রহমান, দবির খান, পান্নালাল ঘোষসহ অসংখ্য গুণীশিল্পীর সরাসরি সান্নিধ্য লাভ করেন।

সত্তরের দশকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গে যুক্ত হন বারী সিদ্দিকী। ওস্তাদ গোপাল দত্তের পরামর্শে ক্লাসিক্যাল মিউজিকের উপর পড়াশোনা শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে বাঁশির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন ও বাঁশির ওপর উচ্চাঙ্গসঙ্গীতে প্রশিক্ষণ নেন। নব্বইয়ের দশকে ভারতের পুনে গিয়ে পণ্ডিত ভিজি কার্নাডের কাছে তালিম নেন। দেশে ফিরে এসে লোকগীতির সাথে ক্লাসিক মিউজিকের সম্মিলনে গান গাওয়া শুরু করেন।

১৯৯৫ সালে বারী সিদ্দিকী প্রখ্যাত সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘রঙের বাড়ই’ নামের একটা ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে জনসমক্ষে প্রথম সংগীত পরিবেশন করেন। এরপর ১৯৯৯ সালে হুমায়ূন আহমেদের রচনা ও পরিচালনায় নির্মিত ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ চলচ্চিত্রে ৭টি গানে কণ্ঠ দেন। এর মধ্যে ‘শুয়া চান পাখি’ গানটির জন্য তিনি অতিদ্রুত ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন।

প্রিয় বিনোদন/সিফাত বিনতে ওয়াহিদ