কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

খুব শীঘ্রই আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে নতুন রেললাইন প্রকল্পের কাজ।

ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গে নতুন রেলপথ চালু

উম্মে মোনতেজামা
ফিচার রাইটার, ট্রাভেল
প্রকাশিত: ০২ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:১৬
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:১৬

(প্রিয়.কম) ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত নতুন করে ৯০ কিলোমিটার ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বন্ধ থাকার অনেক দিন পর অবশেষে এই উদ্যোগটি নেয়া হচ্ছে। বর্তমানে ভারত সরকারের ঋণ সহায়তায় নিশ্চিত হয়েছে প্রকল্পটি। এই কারণে খুব শীঘ্রই এটি আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। নতুন এই রেলপথ চালু করা হলে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গ রুটে মোট ১১২ কিলোমিটারের দূরত্ব কমে যাবে। একই সাথে ভ্রমণ সময়ও কমে যাবে প্রায় তিন ঘণ্টা। বর্তমান সময়ের তুলনায় অনেক কম সময় লাগবে তখন। 

বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত সরাসরি কোনো রেলপথ না থাকায় উত্তরাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনগুলো সান্তাহার ও ঈশ্বরদী হয়ে ১৮০ কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করে। অথচ বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ হলে স্বল্প সময়েই যাতায়াত সম্ভব। পাশাপাশি সময়ও কমে আসবে। এজন্য প্রায় দীর্ঘদিন ধরেই বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের মধ্যে সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপনের দাবি তৈরি হচ্ছিল। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকা হয়ে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দূরত্ব কমে যাবে। তখন আর ঢাকা থেকে পাবনা-ঈশ্বরদী হয়ে উত্তরবঙ্গের কোনো জেলায় যেতে হবে না। সরাসরি ঢাকা থেকেই বগুড়া হয়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া যাবে।

রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ে বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশন পর্যন্ত সরাসরি নতুন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৯০ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ করবে। এর মধ্যে মেইন লাইন ৭৯ দশমিক ৩০ কিলোমিটার এবং লুপ লাইন ১১ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার। প্রকল্পের আওতায় ব্যয় হবে মোট ৫,২৪৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভারতীয় ঋণ রয়েছে ২,৬৬২ কোটি টাকা। রেলপথটি চলতি বছর থেকে আগামী ২০২২ সালের মধ্যেই নির্মিত হবে। রেল লাইনের পাশাপাশি প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ট্র্যাকওয়ার্কস, বাঁধ, স্টেশন বিল্ডিং, সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ। 

এই রুট চালু হলে রংপুর ও বগুড়া থেকে ট্রেনে চড়ে ঢাকায় আসা অনেক সহজ হবে। লাভবান হবে পুরো উত্তরবঙ্গের বাসিন্দারা। প্রকল্পটি শুধু বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলার উন্নয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি উত্তরাঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নের একটি চাবিকাঠি। আর এটি বাস্তবায়ন হলে এই অঞ্চলের ভ্রমণকারীদের সময় ও পথ কমে আসার পাশাপাশি আর্থসামাজিক অবস্থারও দ্রুত উন্নতি হবে।

সম্পাদনাঃ ড. জিনিয়া রহমান

প্রিয় ট্রাভেল সম্পর্কে আমাদের লেখা পড়তে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেইজে। যে কোনো তথ্য জানতে মেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়। ভ্রমণ বিষয়ক আপনার যেকোনো লেখা পাঠাতে ক্লিক করুন এই লিংকে - https://www.priyo.com/post।