কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ছবি: সংগৃহীত

রিজার্ভ চুরি: ব্যাক অফিসের কর্মকর্তারা নির্দেশনা মানেননি

ইতি আফরোজ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০১৭, ১২:৩১
আপডেট: ১৯ জুন ২০১৭, ১২:৩১

(প্রিয়.কম) বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে গড়িয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফট সিস্টেমের সঙ্গে রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস) সিস্টেমকে পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত ম্যানুয়ালটির নিয়ম ব্যাক অফিসের কর্মকর্তারা নিজেরাই মানেননি। এ কারণেই অপরাধীরা রিজার্ভ চুরির সুযোগ পেয়েছেন।

‘বাংলাদেশ রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (বিডি-আরটিজিএস) সিস্টেম রুলস’ শীর্ষক ওই ম্যানুয়াল অনুযায়ী, আরটিজিএস সিস্টেম চালু হওয়ার কথা প্রত্যেক কর্মদিবসে সকাল ৯টায়। ৯টা ১৬ মিনিট থেকে ১০টা পর্যন্ত বরাদ্দ অ্যাকাউন্ট হাউজকিপিংয়ের জন্য। ১০টা ১ মিনিট থেকে ১২টা পর্যন্ত সকালের এক্সচেঞ্জ পিরিয়ড। ১২টা ১ মিনিট থেকে ৪টা পর্যন্ত বিকালের এক্সচেঞ্জ পিরিয়ড।  

এরপর ৪টা ১ থেকে ৪টা ৫ মিনিট পর্যন্ত সন্ধ্যার এক্সচেঞ্জ পিরিয়ড। আবার ৪টা ৬ থেকে ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত আইএলএফ রিভার্সাল পিরিয়ড। ৪টা ৩১ থেকে ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ইভনিং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পিরিয়ড ও ৫টা ৩১ থেকে ৫টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ক্লোজ ডাউন পিরিয়ড। ৬টার সময় সিস্টেম বন্ধ করে দেয়ার কথা।

যদিও আরটিজিএস অনেক রাত পর্যন্ত চালু থাকত বলে দাবি সুইফট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যাক অফিসের কর্মকর্তাদের। জিজ্ঞাসাবাদে তদন্ত কর্মকর্তাদের তারা জানান, আগে তারা সুইফটের সঙ্গে সব ধরনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে অফিস ত্যাগ করতেন। কিন্তু আরটিজিএস সুইফটের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার পর পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টের (পিএসডি) দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংযোগ সার্বক্ষণিক চালু রাখা হতো।

তবে পিএসডির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ব্যাক অফিসের এ দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে তদন্ত কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। তাদের বক্তব্য, সুইফট হয়ে আরটিজিএসের সংযোগ দেয়ার সময়ই বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এটি পরিচালনার বিষয়ে একটি নির্দেশিকা সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোকে দেয়া হয়। ওই নির্দেশিকা মোতাবেক সকাল ৯টায় আরটিজিএস চালু করা হতো। বন্ধ করা হতো সন্ধ্যা ৬টায়। এর পর কোনোভাবেই আরটিজিএসের কোনো ব্যবহার ছিল না। এছাড়া আরটিজিএসের সঙ্গে সংযুক্ত বেসরকারি ব্যাংকগুলোও কখনো ৪টার পর কোনো লেনদেন করেনি বলে জানান তারা। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা জানান, রিজার্ভ চুরির বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন। তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা সমীচীন হবে না। 

এদিকে রিজার্ভ চুরির ঘটনা তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিআইডির মুখপাত্র বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, রাতেও তাদের লেনদেন হয়। এ কারণেই সুইফটের সঙ্গে ইন্টারনেট ও মাস্টার কার্ড সংযুক্ত রাখা হতো। কিন্তু আসলে এমন কোনো ঘটনার সত্যতা তদন্তে পাওয়া যায়নি। আরটিজিএস পরিচালনার ম্যানুয়ালসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক আলামতই আমাদের নজরে এসেছে। সবকিছুর সমন্বয়ে তদন্ত পরিচালনা করা হচ্ছে। 

সূত্র: বণিক বার্তা

প্রিয় সংবাদ/আশরাফ