কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ব্যাট হাতে দারুণ ধারাবাহিক হয়ে উঠেছেন আরিফুল। ছবি: প্রিয়.কম

চিন্তা-ভাবনা বড় হচ্ছে আরিফুলের

শান্ত মাহমুদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০১৭, ১৯:২৭
আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৭, ১৯:২৭

(প্রিয়.কম) ঘরোয়া ক্র্রিকেটের পরিচিত মুখ আরিফুল হক। নিয়মিত পারফর্ম করে আসছেন বেশ আগে থেকেই। জাতীয় দলই লক্ষ্য ছিল। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় দলের ক্যাম্পেও ডাক পেয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু আলোর নিচে বেশিদিন থাকা হয়নি। লক্ষ্য থেকেও কিছুটা সরে গিয়েছিলেন। অবশেষে চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) দিয়ে পুরনো স্বপ্নকে তাজা করে নিচ্ছেন আরিফুল। 

বিপিএলের এবারের আসরে খুলনা টাইটান্সের হয়ে খেলছেন ডানহাতি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। খুলনার হয়ে হাসছে তার ব্যাট। শেষ চার ম্যাচেই আরিফুলের ব্যাট তার হয়ে কথা বলেছে। চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ৪০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলার পর ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ৪ রানে অপরাজিত থাকেন। চিটাগংয়ের সাথে ফিরতি দেখাতেও করেন ৩৪ রান। সর্বশেষ মঙ্গলবার ৪৩ রানের হার না মানা এক ইনিংস খেলে জেতালেন খুলনাকে।

প্রতি ম্যাচেই রানের দেখা মিলছে। দলের জয়েও রাখছেন অবদান। এই মুহূর্তে নিজেকে নিয়ে কী ভাবছেন? আরিফুল জানালেন চিন্তা-ভাবনা বড় হচ্ছে তার, ‘আসলে আমার যেটা হয়েছে, গত প্রিমিয়ার লিগে আমার ব্যাটিং অর্ডার ঠিক ছিল না। হয়ত আমি অনেক নিচে ব্যাটিং করেছি। আট-নয়ে করেছি। ওই সময় বড় রান করা যায় না। আমার চিন্তা ভাবনা আগেও বড় ছিল। কিন্তু সেটা ধরে রাখতে পারিনি। এখন আবার চিন্তা-ভাবনা বড় হচ্ছে।’

এই চিন্তা-ভাবনা বড় বলতে জাতীয় দলের ইঙ্গিতই দিলেন ২৫ বছর বয়সী আরিফুল। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে আসছেন সেই ২০০৬ সাল থেকে। খেলেছেন ৬৭টি প্রথম শ্রেণি ও ৭৬টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ। এই দুই ফরম্যাট মিলিয়ে আরিফুলের সেঞ্চুরি ছয়টি। হাফ সেঞ্চুরি আছে ২০টি। কিন্তু সেভাবে জাতীয় দলের জন্য বিবেচিত হননি আরিফুল। বিপিএল দিয়ে এই পথে কিছুটা এগিয়ে থাকতে চান তিনি। 

মঙ্গলবার মিরপুরে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে আরিফুল যখন উইকেটে যান, ৩৫ বলে খুলনার দরকার তখন ৫৩ রান। এই ৫৩ রানের মধ্যে একাই ৪৩ রান করে খুলনাকে জয় এনে দেন আরিফুল। এভাবে ম্যাচ জেতালে আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যায় বলে মনে করেন তিনি। বলছেন, ‘এভাবে ম্যাচ জিতলে আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যায়। আবার এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে মনে পড়ে যে এভাবে ম্যাচ জিতিয়েছিলাম। এসব অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।’

তিন ওভারে দরকার ছিল ৩৬ রান, ওভারপ্রতি ১২ রান। এমন অবস্থায় ঠিক কী মনে হচ্ছিল? টি-টোয়েন্টিকে পছন্দের ফরম্যাট মানা আরিফুল বলেন, ‘আমার বিশ্বাস ছিল যে আমি শেষ পর্যন্ত টানতে পারলে আমরা জিতব। আমার আত্মবিশ্বাস ছিল। আরেক পাশে জুনাইদ ভাই ছিল, উনি সাহায্য করেছেন। আরেকটা ব্যাপার ছিল, ফিল্ডার যখন অনেক বাইরে থাকে, মিস হিট হলেও দুই রান হওয়ার সুযোগ থাকে। এ জন্য আমাদের কম্বিনেশনটাও সুন্দর হয়েছে।’

এভাবে ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য আছে, সেটা আগেই প্রমাণ করেছেন আরিফুল। ভাল ডেলিভারিও বাউন্ডারিতে পরিণত করতে জানেন তিনি। তবে এই আরিফুলকে আরও বেশি পরিণত দেখাচ্ছে। কারণ হিসেবে খুলনার কোচ মাহেলা জয়াবর্ধনের কথা বললেন তিনি, ‘আগে আমার ব্যালান্সে সমস্যা ছিল। এবার মাহেলা আমার ব্যালান্স নিয়ে কাজ করেছেন। আমার শরীর হয়ত পেছনে যেত মারার সময়। এবার সেই জিনিসটি নিয়ে কাজ করেছেন মাহেলা। সেটায় হয়ত উপকার হয়েছে।’