কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ছবি সংগৃহীত

চোরাচালানে ডায়মন্ড আমদানি করে আপন জুয়েলার্স

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৩ মে ২০১৭, ০৫:৪৫
আপডেট: ১৩ মে ২০১৭, ০৫:৪৫

আপন জুয়েলার্সের শোরুম। সংগৃহীত ছবি

(প্রিয়.কম) উচ্চ শুল্ক ফাঁকি দিতেই আপন জুয়েলার্স চোরাচালানের মাধ্যমে ডায়মন্ড আমদানি করেছে। আপন জুয়েলার্সের বিগত দুই বছরের আমদানির তথ্য অনুসন্ধানে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি এক ক্যারেট ডায়মন্ডও বৈধভাবে আমদানি করেনি। অথচ গুলশান, বায়তুল মোকাররম ও উত্তরার আপন জুয়েলার্সের শোরুমে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে ডায়মন্ডের অলঙ্কার।

কাস্টমস ট্যারিফ অনুযায়ী, ডায়মন্ড আমদানির চূড়ান্ত করভার হচ্ছে ১৫২ দশমিক ৮২ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ টাকার ডায়মন্ড আমদানি করলে সরকারকে ১৫২ টাকা ৮২ পয়সা শুল্ক কর পরিশোধ করতে হয়। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক, ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর, ৪ শতাংশ অগ্রিম ট্রেড ভ্যাট ও ৪ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি আরোপিত আছে।

২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে বৈধভাবে অল্প কিছু প্রতিষ্ঠান বৈধভাবে সামান্য পরিমাণ ডায়মন্ড আমদানি করেছে। এ তালিকায় আপন জুয়েলার্সের নাম নেই। রাজধানীতে আপন জুয়েলার্সের অাটটি শোরুম রয়েছে। যেখানে স্বর্ণালঙ্কারের পাশাপাশি ডায়মন্ডের অলঙ্কারও বিক্রি হয়।

নারী-পুরুষের উভয়ের ক্ষেত্রে ডায়মন্ডের অলঙ্কার বিক্রি করে আপন জুয়েলার্স। এ ব্যাপারে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মইনুল খান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আপন জুয়েলার্সের ব্যবসা নিবন্ধন নম্বর (বিআইএন) তল্লাশি করে ডায়মন্ড আমদানির তথ্য পাওয়া যায়নি।’

তিনি জানান, আপন জুয়েলার্স হয়তো ডায়মন্ড চোরাচালানের মাধ্যমে দেশে আনে, অথবা মিস ডিক্লারেশনের (ঘোষিত পণ্যের পরিবর্তে অন্য পণ্য আনা) মাধ্যমে সেগুলো আনা হয়। শিগগিরই এ বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা অনুসন্ধান শুরু করবে। তাদের যেসব ডায়মন্ড বিক্রি হচ্ছে, সেগুলো আসল কিনা, সেগুলোর ক্রয়-বিক্রয় প্রক্রিয়া স্বচ্ছ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।

‘আপন শাড়ি’ ব্র্যান্ডের শাড়ির ব্যবসার মাধ্যমে আপন জুয়েলার্স তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করে। এরপর তারা জুয়েলারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়। বিগত বিএনপি সরকারের আমলে রাইফেলস স্কয়ারে (বর্তমানে সীমান্ত স্কয়ার) আপন জুয়েলার্সের শোরুমে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চোরাচালানের মাধ্যমে আনা স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করে। পরে সেটিকে ধামাচাপা দেওয়া হয়।

সূত্র: যুগান্তর

প্রিয় সংবাদ/শিরিন