ফাইল ছবি

(প্রিয়.কম) বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) কয়েক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে দেশটির বিচার বিভাগ। তাদের মধ্যে রয়েছে আরসিবিসি সাবেক এক ব্যবস্থাপক ও রেমিট্যান্স ফার্ম ফিলরেম সার্ভিস করপোরেশনের কয়েকজন মালিক।

সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ গঠনে করেছে দেশটির বিচার বিভাগ।

অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন আরসিবিসির মাকাতি সিটির জুপিটার শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতো। এছাড়াও রয়েছেন ওই ব্যাংকের আমানতকারী মাইকেল ফ্রান্সিসকো ক্রুজ, জেসিস ক্রিস্টোফার এম ল্যাগরোসাস, আলফ্রেড সান্তোস বারগারা ও এনরিকো তিওদেরো বাসকুইজ। তাদের আটটি ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে।

এদিকে, মানি লন্ডারিং আইন লঙ্ঘনের চারটি অভিযোগে ফিলরেম সার্ভিসের মালিক সালুদ আর বাতিসতা, মাইকেল এস বাতিসতা ও এন্থনি সি পেলেজোর বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চলে যায় ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের অনুকূলে।

ঘটনাটি জানাজানি হলে বাংলাদেশ ব্যাংক ফিলিপাইন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শরণাপন্ন হয়। পরে মাত্র দেড় কোটি ডলার ফেরত পাওয়া গেলেও বাকি অর্থ এখনো ফেরত পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে ওই ঘটনায় দেশটির পার্লামেন্ট তদন্ত শুরু করে। এরই অংশ হিসেবে অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং কাউন্সিল (এএমএলসি) বিচার বিভাগের মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছে।

প্রিয় সংবাদ/জন/আশরাফ