কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

৪৫ বলে ৭৬ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলেন সুনীল নারাইন। ছবি: প্রিয়.কম

নারাইন ঝড়ের পরও ঢাকার ১২৮

সৌরভ মাহমুদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৭, ১৫:০৪
আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৭, ১৫:০৪

(প্রিয়.কম) স্পিনার হয়েও পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সর্বশেষ আসরে ব্যাট হাতে সুনীল নারাইন বেশ কয়েকটি ম্যাচেই নেমেছেন ওপেনিংয়ে। উপহার দিয়েছেন বিস্ফোরক সব ইনিংসও। এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলতি আসরেও দেখা গেল নারাইনের সেই ব্যাটিং কারিশমা। তবে এটাকে কারিশমা না বলে ঝড় বলাই যায়। ৪৫ বলে সাত চার ও পাঁচ ছক্কায় ৭৬ রান তুলে রীতিমত তাণ্ডব চালালেন উইন্ডিজের এই অলরাউন্ডার।

তবে নারাইন ঝড়ের পরও ঢাকা ডায়নামাইটস গুটিয়ে যায় মাত্র ১২৮ রানে। সাকিব আল হাসানের দল খেলতে পারেনি পুরো ২০ ওভারও। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পাকিস্তানি পেসার হাসান আলী, আফগান স্পিনার রশিদ খান ও বাংলাদেশি পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বোলিং তোপে ১৮.৩ ওভারে ১২৮ রানেই থামে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ইনিংস। কুমিল্লার পাকিস্তানি পেসার হাসান আলী মাত্র ২০ রানে তুলে নেন পাঁচটি উইকেট। 

সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ঢাকা ডায়নামাইটস। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে হাসান আলীর বলে পর পর দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ঢাকা। তবে সেই চাপ থেকে ঢাকাকে মুক্তি দেন নারাইন। সাঙ্গাকারাকে সঙ্গে নিয়ে রীতিমত ঝড় তুলেছেন ক্যারিবিয়ান এই অলরাউন্ডার। ৩০ বলে তুলে নেন বিপিএলে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি।

তবে ইনিংসের ১৩ তম ওভারে ঘটে ছন্দপতন। ব্যক্তিগত ২৮ রানে সাঙ্গাকারা রান আউটের শিকার হলে ভাঙে তাদের ৯২ রানের জুটি। এক ওভার পর তামিমের দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফিরে যান নারাইনও। আউট হওয়ার আগে ৪৫ বলে সাত চার ও পাঁচ ছক্কায় ৭৬ রান করেন নারাইন। দলীয় সংগ্রহ তখন চার উইকেটে ১১৪ রান। এরপরই খেই হারায় ঢাকা ডায়নামাইটস। স্কোরকার্ডে আর মাত্র ১৪ রান যোগ করতেই গুটিয়ে যায় ঢাকা। শেষ ৪.৩ ওভারে মাত্র ১২ রান করেছে ঢাকা।

নারাইনের বিদায়ের পর তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে ঢাকার ইনিংস। ব্যক্তিগত এক রানে কাইরন পোলার্ড রান আউটে কাটা পড়েন। হাসান আলীর তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (১)। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের শিকার হওয়ার আগে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান করেন মাত্র তিন রান। শেষ দিকে আর কেউই দাঁড়াতে পারেনি কুমিল্লার বোলারদের সামনে। হাসান আলী একাই নেন পাঁচ উইকেট। এছাড়া মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন দুটি এবং রশিদ খান নেন একটি উইকেট।

প্রিয় স্পোর্টস/শান্ত মাহমুদ