কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আফসানা বেগম। ছবি : সংগৃহীত।

অটিস্টিক শিশুর কাহিনী নিয়ে আফসানা বেগমের ‘বেদনার আমরা সন্তান’

সিফাত বিনতে ওয়াহিদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০১৮, ১৯:১০
আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৮, ১৯:১০

(প্রিয়.কম) চলছে জানুয়ারি মাস। মাস পেরোলেই শুরু হবে বাঙালির প্রাণের অমর একুশে গ্রন্থমেলা। লেখকদের পাণ্ডুলিপি পৌঁছে যাচ্ছে প্রকাশকের কাছে, আর সেসব নিয়ে মুদ্রণ ও প্রকাশনার কাজে প্রকাশনী সংস্থা ও প্রিন্টিং প্রেসগুলোতে চলছে শেষ সময়ের ব্যস্ততা। এই মাস পুরোটাই চলবে ছাপাখানার বিরামহীন কাজ।

এবার বইমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে গল্পকার, ঔপন্যাসিক ও অনুবাদক আফসানা বেগমের চতুর্থ উপন্যাস ‘বেদনার আমরা সন্তান’।

উপন্যাসটি ২০১১ সালে লিখে রাখলেও, প্রকাশের ভাবনাটা ছিল না আফসানা বেগমের। অনেকটা মনের তাগিদেই লিখে ফেলেছিলেন। কিন্তু প্রকাশের চিন্তা মাথায় আসার পর পাণ্ডুলিপিটি আবার নতুন করে লিখেন তিনি। ২০১৭ সালে এসে আবার নতুন করে শেষ করেন প্রায় আড়াইশ পৃষ্ঠার এই পাণ্ডুলিপিটি।

‘বেদনার আমরা সন্তান’ মূলত একজন মায়ের লড়াইয়ের গল্প। এক প্রতিবন্ধী সন্তানকে স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে দেখানোর সর্বোচ্চ প্রয়াস এবং অবিরাম রক্তক্ষরণের মধ্য দিয়ে জীবনের অপার সম্ভাবনাকে খুঁজে পাওয়ারই এক সামাজিক দলিল এটি।

অটিজমবিষয়ক উপন্যাস লেখা নিয়ে আফসানা বেগম জানান, এ রোগটির সঙ্গে ২০০২ সালে পরিচয় ঘটে তার। এ নিয়ে ব্যক্তিগত আগ্রহের জায়গা থেকে ‘অটিজম’ আক্রান্ত শিশুদের বিষয়ে জানার চেষ্টা করেন তিনি। যার ফলে বেশ কিছু সংখ্যক অটিস্টিক শিশু ও তাদের অভিভাবকদের সংস্পর্শে আসার সুযোগ হয় তার। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিচিত্র সব সমস্যার কথা শুনেন লেখিকা। কোনো কোনো সমস্যা থেকে তিনি উত্তরণের উপায় দেখেছেন, আবার অনেক সমস্যাকে অন্ধগলির শেষ প্রান্তে মুখ থুবড়ে পড়ে যেতেও দেখেছেন তিনি।

এসব আনন্দ-বেদনার ছোট-বড় ঘটনা তিনি নিজের ভেতর লালন করতে থাকেন। তখন থেকেই তিনি লেখার তাগিদ অনুভব করতে থাকেন। উপন্যাসটির উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, কল্পকাহিনী সৃষ্টি ছাড়াও অটিজম নিয়ে সামাজিক সচেতনতা তৈরি এই উপন্যাসের প্রধান একটি উদ্দেশ্য।

‘বেদনার আমরা সন্তান’ উপন্যাসটি প্রকাশিত হচ্ছে কথাপ্রকাশ থেকে। প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী ধ্রুব এষ। মেলার প্রথম সপ্তাহ থেকেই বইটি পাওয়া যাবে কথাপ্রকাশের স্টলে।

এ ছাড়াও এবার অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আফসানা বেগমের আরও দুইটি অনুবাদের বই (‘উইলিয়াম ফকনারের অনুবাদ ‘মৃত্যুর প্রতীক্ষায় আমি’ ও হারুকি মুরাকামির কিশোর উপন্যাস ‘অদ্ভুত এক লাইব্রেরি’) প্রকাশিত হবে।

উল্লেখ্য, সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৪ সালে জেমকন তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কার পান আফসানা বেগম। ‘দশটি প্রতিবিম্বের পাশে’, ‘জীবন যখন থমকে দাঁড়ায়’, ‘প্রতিচ্ছায়া’, ‘রোমান সাম্রাজ্য’, ‘পলাতক’, ‘পাশে হলো না যাওয়া’সহ মৌলিক ও অনুবাদ মিলিয়ে তার গ্রন্থ সংখ্যা চৌদ্দ।

প্রিয় সাহিত্য/গোরা/আরএ