জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। পুরোনো ছবি।
ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বহিষ্কার
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৮, ১০:২৫
(প্রিয়.কম) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৪২ ব্যাচের এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
১৭ জানুয়ারি বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর নাম আল-আমিন হোসেন শাহেদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তিনি ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
এক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে শেখ হাসিনা হল থেকে চলতি শিক্ষাবর্ষের ভুয়া শিক্ষার্থী মোফসেনা ত্বাকিয়া ত্বকিকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শেরপুরের নালিতাবাড়ির ত্বাকিয়া নিজেকে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দিয়ে আসছিল। তিনি তিন মাস ধরে শেখ হাসিনা হলে থাকছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ত্বকি জানায়, টাকার বিনিময়ে তাকে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ৪৬ ব্যাচে ভর্তি করেছেন আল-আমিন। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে পরে আল-আমিনকেও আটক করা হয়।
সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার মন্ডল বলেন, ‘মেয়েটি আমাদের বিভাগে দীর্ঘ চার মাস যাবৎ ক্লাস করে আসছিল। তবে সে নিয়মিত ক্লাস, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করত না। তাকে ভর্তি রোল নম্বরসহ সকল কাগজপত্র আমরা দেখাতে বলি। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি- সে আমাদের বিভাগের ছাত্রী না। তার ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি।’
তিনি অারও বলেন, ‘ভর্তি সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র প্রশাসনের কাছে নেই এবং ওই ছাত্রীও আমাদের দেখাতে পারে নাই। অনেক সময় কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে দেরিতে রোল নম্বর পেয়ে থাকে শিক্ষার্থীরা। তাই বিষয়টি বিভাগের শিক্ষকদের নজরে এতদিন আসেনি।’
উজ্জ্বল কুমার মন্ডল জানান, ত্বাকিয়াকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হবে এবং আল আমিনকে পুলিশে হস্তান্তর করা হবে।
সূত্র: ইউএনবি
প্রিয় সংবাদ/শিরিন/আরএ