কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রাজধানীর প্রেসক্লাবে শনিবার মনববন্ধনে একসেঞ্চার কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

নিজেদের অসহায়ত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন একসেঞ্চার কর্মীরা

মিজানুর রহমান
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৫ আগস্ট ২০১৭, ১২:৩৩
আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০১৭, ১২:৩৩

(প্রিয়.কম) দেশের সবচেয়ে বড় বি.পি.ও কোম্পানি একসেঞ্চার হঠাৎ করেই বন্ধ কেরে দেওয়ার ঘোষণায় বিপদে পড়েছেন প্রতিষ্ঠাটির ৫ শতাধিক কর্মী। কর্মীদের মধ্যে অনেকের বয়সই ৩৫ এর মধ্যে হওয়ায় নতুন কোনো চাকরি নিয়েও আশংকায় দিন কাটাচ্ছেন  তারা।

এমন অবস্থায় হতাশ ও আশংকাগ্রস্থ কর্মীরা একসেঞ্চার বন্ধ হওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। হুট করে বেকার হয়ে যাওয়া একচেঞ্চার কর্মীরা বিষয়টি নিয়ে ৫ আগষ্ট রাজধানীর প্রেসক্লাবে মানববন্ধনও করেছেন। 

একসেঞ্চারের সাবেক কর্মী আহমদ মঞ্জুরুদ্দৌলা প্রতিষ্ঠানটির চাকরী হারানো সব কর্মীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি লিখেছেন। সেখানে চাকরি হারিয়ে তাদের দুর্দশা, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না পেলে তাদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে বলা হয়, চাকরি হারানো ৫৫৬ জন তরুন-তরুণীর গড় বয়স ৩৫/৩৬ বছর। চাকরি জীবনের শুরুতে এদের বেশীর ভাগই ছিলেন গ্রামীনফোন লিঃ এর কর্মী। ৬/৭ বছর গ্রামীনফোনে স্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করার পর তাদের পাঠানো হয় গ্রামীনফোন আই.টি তে। সেখানে ৩ বছর কাজ করার পর তাদের আবারও পাঠানো হয় একসেঞ্চারে। এ প্রতিষ্ঠানে ৪ বছর কাজ করার পর এখন তাদের জানানো হল আগামী ৩০, নভেম্বর, ২০১৭ এর পর কারও চাকরি থাকবে না। তাদের সকলের জীবনে অকাল অবসরের দেখা মিলতে যাচ্ছে ১৩/১৪ বছরের কর্ম জীবনের শেষে।

উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে চিঠিতে বলা হয়, একসেঞ্চার বাংলাদেশ লিমিটেডের মালিক হচ্ছে এক্সেঞ্চার (৫১ ভাগ) এবং গ্রামীনফোন লিঃ(৪৯ ভাগ)। দুটি কম্পানিই দাবী করে থাকে তারা শুধু ব্যাবসাই করেন না, তারা সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ। চাকরিচ্যুত এমপ্লয়ীদের ওপর এই দায়বদ্ধতার প্রয়োগে আমরা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি। কোম্পানি দুটির সক্ষমতা অনুযায়ী ক্ষতিপুরন পেলে এসব কর্মীনা নিজ যোগ্যতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারবে। 

ক্ষতিপুরনের ক্ষেত্রে নিকট অতীতে এইচ.এস.বি.সি ব্যাংক তাদের পার্সনাল ব্যাংকিং সেবা এস.সি.বি’র কাছে বিক্রয় করার ক্ষেত্রে স্থায়ী কর্মীদের যে পরিমান ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল, তাকে মানদন্ড হিসেবে ব্যাবহার করার দাবি জানিয়েছেন চাকরি হারানো এসব কর্মীরা। 

প্রিয় টেক/মিজান