কুলাউড়ায় বিএনপি নেতাকর্মী ও বানভাসী মানুষের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ। ছবি: প্রিয়.কম
মির্জা আব্বাসের ত্রাণ বিতরণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ১০
আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০১৭, ১৯:৪০
(প্রিয়.কম) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস মৌলভীবাজারের জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণের জন্য যাওয়ার সময় পথিমধ্যে কুলাউরায় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী ও বন্যার্তদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ জন আহত হয়েছেন।
২৭ আগস্ট রোববার বেলা সাড়ে ৩টায় কুলাউড়া শহরের উত্তরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মির্জা আব্বাসের আগমনের খবর পেয়ে কুলাউড়ায় জড়ো হন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এমএম শাহীন সমর্থিত অংশের নেতাকর্মীরা। সেখানে বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ বিতরণেরও ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সেখানে নামেননি মির্জা আব্বাস। তার ব্যক্তিগত সহকারী পুলিশের সহায়তা চাইলে পুলিশ সেখানে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের এবং ত্রাণ নিতে আসা বানভাসী মানুষদের লাঠিপেটা করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের লাঠিপেটায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, মির্জা আব্বাস মৌলভীবাজারের জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণে যাওয়ার খবরটি জানতে পেরে সাবেক এমপি শাহীন সমর্থিক বিএনপি নেতারা শহরের উত্তরবাজারে ত্রাণ বিতরণ ও পথসভার আয়োজন করে। সেখানে কয়েকশ নেতাকর্মী ও ত্রাণ নিতে আসা বানভাসী মানুষ জড়ো হন। সড়কপথে সিলেট থেকে কুলাউড়া হয়ে জুড়ী অভিমুখে যাবার সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা মির্জা আব্বাসকে পথসভাস্থলে নেমে ত্রাণ বিতরণের অনুরোধ জানান। কিন্তু তিনি সেখানে নামেননি।
উল্টো মির্জা আব্বাসের ব্যক্তিগত সহকারি নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়ার জন্য পুলিশের সহযোগিতা চাইলে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। এতে কমপক্ষে ১০ জন নেতাকর্মী পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হয়। পুলিশের লাঠিপেটায় নেতাকর্মীরা রাস্তা ছেড়ে দিলে মির্জা আব্বাসসহ নেতাকর্মীরা জুড়ী চলে যান।
এ সময় মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিজান পথসভাস্থলে নেমে ত্রাণ বিতরণ করে নেতকর্মীদের সান্ত্বনা দিয়ে যান।
এ বিষয়ে কুলাউড়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সুরমান আহমদ জানান, ‘রাজনীতিতে এমন লজ্জাজনক ঘটনার এই প্রথম মুখোমুখি হলাম।’
প্রিয় সংবাদ/শান্ত