পেইন্টিং: সংগৃহীত।
জাহিদ জগৎ'র একগুচ্ছ কবিতা
আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:১২
(প্রিয়.কম) প্রিয়.কম এর বিশেষ আয়োজন ‘শুক্রবারের কবিতায়’ আজ প্রিয়.কমের পাঠকদের জন্য থাকছে তরুণ কবি জাহিদ জগৎ'র একগুচ্ছ কবিতা।
নির্দেশক
হে পৃথিবী,
গোল হয়ে মানুষের সমাবেশে
আবর্তের দিক নির্দেশনা দাও।
আমরা ঘুরতে থাকি,
শক্ত খুঁটি পুতে রেখে
অস্তিত্বহীন উচ্চতার দিকে।
ঘর-বাড়ি
এই যে দেখছো মাছের ছড়ানো আঁশ,
লোমের গোড়ায় টলমল করা দিঘি !
সেখানে একজন কবি স্নান করছে,
তুমি যার অপেক্ষায় ছিলে।
সাঁতারে ঢেউ ছুঁড়ে দিলে,
তোমারও নৌকা দোলে।
কপালের রেখাগুলো পাটাতনে সাজিয়ে রেখে,
পারাপারের দৃশ্যে
তুমি তাকে দীঘি সমেত নৌকায় তুলে নাও,
আমরা একসাথে দোল খাই;
দূর থেকে বাবুই পাখি দেখুক আমাদেরও বাসা আছে।
যাত্রা
হে মহান মুচি,
তুমি প্রিয় রমনীর জুতার মতো
পৃথিবীর ফাটল সেলাই করে দাও।
আমি সেই পথ ধরে খুঁজে নেবো
পৃথিবীর প্রথম দ্বীপের চিহ্ন।
যজ্ঞ
মায়ামনির চোখে দাগ কাটে শালিকের ডানা,
ঝাপটায়, বড় অসময়ে শুনি চিতকারের প্রতিধ্বনি।
নিঃশব্দে ভাংগা রাতের টুকরো ঝরে ঘরের চালায়,
জাগোয়া চোখ এমন কি পাহারায় ঢাকো, শুনি?
সত্য নাকি ব্যথা?
সে স্বজন হারা, পাহারায় তার পথ অন্ধ রাত্রির পাশে
ভাসে নাই যাত্রাতরী,
মায়ামনি শালিকের ব্যথায়, পোড়াইছি রাত্রি যাত্রী শেষে,
উড়াবো তারই ছাই দিনের আলো ধরি।
ইতিহাস
কবি থামো, তোমার নিষ্ঠুরতা দেখে
চাঁদ আটকে গেছে বাড়ির পালান পর্যন্ত।
পায়ের তলে মাড়িয়ে এলে রেলের স্লীপার
জান, ওগুলো বিশু মুচিদের হাড় ছিল?
ইটে থেতো যে পথ পাড়ি দিয়ে
পাথরের ইতিহাস খুঁড়ে আনলে;
সেখানে এক সময় ধান চাষ হতো।
প্রিয় সাহিত্য/সিফাত বিনতে ওয়াহিদ