সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত চার হাজার ১৪৩ জনের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৮৩ জন এইচআইভি আক্রান্ত
আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৭, ২১:১৯
(প্রিয়.কম) মিয়ানমার থেকে নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৮৩ জন এইচআইভি আক্রান্ত পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ, ৪১ জন নারী, সাত জন ছেলে শিশু ও ছয় জন মেয়ে শিশু।
২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান। এই হিসাব গত তিন মাসের (২৫ আগস্ট থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত)।
তিনি বলেন, ‘এইচআইভি শনাক্তকরণসহ চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ ও সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।’
সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত চার হাজার ১৪৩ জনের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের তথ্য পাওয়ার কথা এই বছরই জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তাদের মধ্যে ৬৫৮ জনের মৃত্য ঘটে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক জানান, বাংলাদেশের প্রতি ১০ জন নারীর তিনজন কোনো না কোনোভাবে তামাক সেবন করেন।
গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোবাকো সার্ভে-২০০৯ এর উদ্বৃতি দিয়ে তিনি বলেন, দেশের প্রতি ১০ জন নারীর তিনজন কোনো না কোনোভাবে তামাক ব্যবহার করেন। অর্থাৎ ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ নারীই ধোঁয়াযুক্ত ও ধোঁয়াবিহীন নানা ধরনের তামাক ব্যবহার করে থাকেন।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের কারণে প্রতি বছর ৯৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
তামাক ব্যবহারের প্রত্যক্ষ ফল হিসেবে আটটি রোগ হয়। এগুলো হলো- হৃদরোগ, ফুসফুসে ক্যান্সার, স্ট্রোক, মুখের ক্যান্সার, শ্বাস ও খাদ্যনালীর ক্যান্সার, ফুসফুসের শ্বাসতন্ত্রের বাধাজনিত রোগ, ফুসফুসের যক্ষ্মা ও বর্জারস ডিজিজ।
সেসময় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
প্রিয় সংবাদ/শান্ত