কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।

প্রখ্যাত সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ৮৩তম জন্মদিন আজ

সিফাত বিনতে ওয়াহিদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১২:১০
আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১২:১০

(প্রিয়.কম) বাংলা সাহিত্যের প্রথিতযশা কবি ও জনপ্রিয় সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের আজ ৮৩তম জন্মদিন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম এই কলমবন্ধু ১৯৩৪ সালের এই দিনে বাংলাদেশের মাদারীপুর জন্ম গ্রহণকরেন। জন্ম এ দেশে হলেও প্রখ্যাত এই সাহিত্যিক বেড়ে উঠেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে।

জীবনানন্দ যুগের পর বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবিদের মধ্যে সুনীলের নাম বহুল উচ্চারিত। বাবার দেওয়া টেনিসনের একটি কাব্যগ্রন্থ অনুবাদ করতেই গিয়েই সাহিত্যের জগতের সাথে পরিচয় ঘটে তার। বন্ধুরা যখন খেলাধুলা করে, বিড়ি-সিগারেট ফুঁকে, সিনেমা দেখে সময় কাটাতো, সুনীল তখন বাবার নির্দেশে টেনিসনের কবিতা অনুবাদে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। এক সময় অনুবাদ করতে আর ভালো লাগে না তার , ফলে কিশোর সুনীল নিজেই কবিতা লিখতে নেমে পড়েন। ছেলেবেলার প্রেমিকাকে উদ্দেশ্য করে লিখে ফেলেন একটি প্রেম কাব্য, সেটি বিখ্যার দেশ পত্রিকায় ছাপানোও হয়ে যায়।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

১৯৫৩ সালে গুণী এই সাহিত্যিক কৃত্তিবাস নামে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করেন, তৎকালীন নতুন প্রজন্মের কবিদের কাছে সেটি ছিল এক বিশাল প্ল্যাটফর্ম। দীর্ঘ বহু বছর তিনি কলকাতার স্বনামধন্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান আনন্দবাজার গ্রুপের বিভিন্ন প্রকাশনার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তিনি তার বহু লেখা নীললোহিত ছদ্মনামে লিখেছেন। এই ছদ্মনামের মাধ্যমে তিনি নিজের একটি পৃথক সত্তা তৈরি করতে পেরেছিলেন। ১৯৫৮ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ একা এবং কয়েকজন, ১৯৬৬ সালে আত্মপ্রকাশ ঔপন্যাসিক হিসেবে তিনি পরিচিতি পান।

একই সঙ্গে সুনীল আধুনিক এবং রোমান্টিক ধারার কবি। তার বিখ্যাত উপন্যাস অরণ্যের দিনরাত্রি এবং প্রতিদ্বন্দ্বী নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন উপমহাদেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়। পরবর্তী লালনকে নিয়ে লেখা তার উপন্যাস মনের মানুষ নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করেন আরেক খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা গৌতম ঘোষ।

তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে আমি কিরকম ভাবে বেঁচে আছি, হঠাৎ নীরার জন্য, অর্ধেক জীবন, অরণ্যের দিনরাত্রি, পূর্বপশ্চিম, প্রথম আলো; অন্যতম। সাহিত্যচর্চার স্বীকৃতি হিসেবে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান এই সাহিত্যিক ১৯৭২ সালে পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার, ১৯৮৫ সালে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার এবং ২০১১ সালে দ্য হিন্দু লিটারেরি পুরস্কারসহ আরো অসংখ্য পুরস্কার।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর বাংলা সাহিত্যের এই প্রবাদপুরুষ হৃদযন্ত্রের অসুস্থতার কারণে কলকাতার নিজ বাসায় দেহ ত্যাগ করেন।

প্রিয় সাহিত্য/গোরা