কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ভুক্তভোগী তরুণীর পরিবার। ছবি: প্রিয়.কম

স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে অনশনে ব্যর্থ হয়ে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তরুণীর মামলা

সানী ইসলাম
কন্ট্রিবিউটর, শেরপুর
প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২০:১৩
আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২০:১৩

(প্রিয়.কম) স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবি করে অনশনে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে শেরপুরের বাসিন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আরিফুজ্জামান সোহাগের (৩০) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন এক তরুণী।

১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এএসআই সোহাগসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই নালিশি মামলা দায়ের হলে বিচারক সাইফুর রহমান তা আমলে নিয়ে এএসআই সোহাগসহ ৬ জনকে আগামী ১৮ অক্টোবর আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারির আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, সদর উপজেলার পূর্ব আলিনা পাড়া এলাকার মৃত আনিছুর রহমান দুলালের ছেলে ও পুলিশের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান সোহাগের সাথে শেরপুর সরকারি কলেজের মাস্টার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর তারা গোপনে বিয়ে করেন বলে দাবি করছেন ওই তরুণী। তবে সম্প্রতি ওই তরুণীর বাবা-মা অন্যত্র তাদের মেয়েকে বিয়ে দেওয়া জন্য তোড়জোড় শুরু করে। তাই সেই তরুণী সোহাগকে বিষয়টি জানান এবং স্ত্রীর স্বীকৃতি দিতে বলেন। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তা সোহাগ তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকৃতি জানান।

এদিকে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার পুলিশ কর্মকর্তা সোহাগ গোপনে অন্যত্র বিয়ের আয়োজন করেন। এরই প্রেক্ষিতে ওই তরুণী সোহাগের বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অনশন শুরু করেন। এরপর শনিবার বিকেল পর্যন্ত ওই ঘটনায় স্থানীয়ভাবে সুষ্ঠু সুরাহা না হলেও সদর থানা পুলিশ এএসআই সোহাগের বাড়ি থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

খবর পেয়ে জেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি রাজিয়া সামাদ ডালিয়া ও জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি জয়শ্রী দাস লক্ষ্মীসহ মানবাধিকার কর্মী ও নারীনেত্রীরা থানায় ছুটে গেলেও এএসআই সোহাগের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না নিয়ে পরদিন তার মার জিম্মায় দেয় পুলিশ। তবে আরিফুজ্জামান সোহাগ ভুয়া কাবিনের মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করার অভিযোগে ওই তরুণী মামলা দায়ের করেন।

প্রিয় সংবাদ/শান্ত