কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: প্রিয়.কম

‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ বিএনপিকে ভোট দিবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিয়.কম
প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি ২০১৮, ২০:০৭
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৮, ২০:০৭

(প্রিয়.কম) সুষ্ঠু নির্বাচন হলে শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ বিএনপিকে ভোট দিবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট বার অডিটরিয়মে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সরকা‌রের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যে দর্শন দিয়েছিলেন, যে দল গঠন করেছেন- সে দল আজও এ দেশের মানুষের বুকের মধ্যে আ‌ছে। আজকে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে দেখুন, শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ এই বিএনপিকে ভোট দিবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে এই ফ্যাসিস্ট সরকার। যারা গণতন্ত্রকে একবার নয় বহুবার ধ্বংস করেছে, তারা আজকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়ে একটা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে একেবারে শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগের লোকেরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম মিথ্যাচার করে। এই মিথ্যাচারগুলো এজন্য করে যে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে শুধু তারা ভয় পায় না, তারা মনে করে- তার আদর্শ, দর্শন বাংলাদেশের সব মানুষের কাছে যদি চলে যায়, তাহলে তাদের অস্তিত্ব থাকবে না। কারণ আমরা দেখেছি- এই আওয়ামী লীগ ছিল না, বাকশাল ছিল। তাদের দলের কোনো অস্তিত্ব ছিল না, সে দলকে বহুদলীয় গণতন্ত্র দিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।’

খাল খনন কর্মসূচি, সংবাদপত্রের স্বাধীনতাসহ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের প্রশংসা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি যেদিন শহীদ হলেন ঢাকার এই মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে সমগ্র ঢাকায় মানুষ দিয়ে সয়লাভ হয়ে গিয়েছিল। সেদিন কৃষক তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। এক রিকশাওয়ালা কালো পতাকা নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে এখান থেকে ওখানে (চট্টগ্রাম) চলে গিয়েছিল। এটা আমার কথা নয়, টাইমস পত্রিকায় খবর এসেছিল। তার জানাজায় লক্ষ লক্ষ মানুষ সেদিন উপস্থিত হয়েছিলেন।’

বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কষ্ট দিচ্ছে। আজকে আমরা সবাই জানি- এই মামলা একটা মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু এই মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে সপ্তাহে প্রায় ৫ দিন আদালতে আটকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

বিএন‌পির মহাস‌চিব বলেন, ‘আমরা আর এই গণতন্ত্র বিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না। আমরা চাই না বিএনপিকে ধ্বংস করে দিয়ে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করে একটা অপশক্তি আমাদের বুকের উপরে দিনের পর দিন চেপে থাকুক।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দলটির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আসুন আমরা আজকের এই দি‌নে শপথ গ্রহণ করি যে, আগামী দিনে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বাধ্য করে বলব-
পদত্যাগ করুন, একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধী‌নে নির্বাচন দিন। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করুন, তারপর নির্বাচন অতি শিগগিরই দিন এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করুন। অন্যথায় বাংলাদেশের মানুষ যারা যুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনেছে, গণতন্ত্রকে প্রতি‌ষ্ঠিত করেছে- তারা অবশ্যই এই ফ্যাসিস্ট, অত্যাচারী, নির্যাতনকারী সরকারকে বাধ্য করবে জনগণের একটি নির্বাচনের জন্য।’

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, শামসুজ্জামান দুদু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমদ আযম খান, সাংবাদিক মাহবুব উল্লাহ, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট মাহবুব উদ্দীন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন-নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক হেলেন জেরীন খান প্রমুখ।

প্রিয় সংবাদ/নোমান/শান্ত