কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

উখিয়া সমুদ্র সৈকত। ফাইল ছবি

পৃথক নৌকাডুবিতে শিশুসহ ৭ রোহিঙ্গার মৃত্যু, নিখোঁজ ৫

ইতি আফরোজ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:১৯
আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:১৯

(প্রিয়.কম) মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসার সময় কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় সমুদ্র সৈকতে রোহিঙ্গা ভর্তি পৃথক নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ছয় শিশুসহ সাত রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও পাঁচ রোহিঙ্গা এখনও নিখোঁজ রয়েছে।

৩০ অক্টোবর সোমবার রাত সাড়ে ১০টা দিকে টেকনাফের মহেশখালী পাড়া এলাকায় এবং ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উখিয়ার জালিয়া পালং এলাকা সংলগ্ন সমুদ্র সৈকতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাজান মিয়া জানান, ৩৫ রোহিঙ্গা যাত্রীসহ নৌকাটি ডুবে গেলে তিন শিশুর মৃত্যু হয়। এতে নিখোঁজ রয়েছে পাঁচ রোহিঙ্গা। 

নিহত তিন শিশুর মধ্যে দুইজন হলো- সাত মাস বয়সী মাকসুদ ও তিন মাস বয়সী জোহরা এবং একজনের নাম এখনো জানা যায়নি। 

উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা আশরাফ আলী জানান, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসার সময় ৩৫ জন যাত্রীসহ তাদের নৌকা ডুবির  ঘটনাটি ঘটে। নিহত শিশুদের পরিবারের সম্মতি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে টেকনাফে তিন শিশুর মরদেহ দাফন সম্পন্ন করেছে স্থানীয় পুলিশ।

অপরদিকে, বাহাজপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কাঞ্চন কান্তি জানান, উখিয়ার জালিয়া পালং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সংলগ্ন সমুদ্র সৈকতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসার সময় নৌকা ডুবিতে তিন শিশু ও এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হলো- এনামুল হাসান (৪), মিনারা বেগম (৫) ও জোহরা (৬০)। বাকি একজনের নাম জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এই সংখ্যা ইতোপূর্বে সহিংসতার কারণে প্রাণ বাঁচাতে কক্সবাজারে আসা ২ লাখের বেশি লোকের অতিরিক্ত। নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের অধিকাংশই গাদাগাদি করে অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরগুলোতে অবস্থান করছে। এছাড়া স্থানীয় মানুষের সঙ্গে মাত্র ৪৬ হাজার রোহিঙ্গা বসবাস করছে বলে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।

প্রিয় সংবাদ/আশরাফ