কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

দৃশ্যমান পদ্মা সেতু। ফাইল ছবি।

পদ্মা সেতুর ৫১ শতাংশ কাজ সম্পন্ন

আয়েশা সিদ্দিকা শিরিন
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০১৭, ১১:২২
আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৭, ১১:২২

(প্রিয়.কম) ২৬ নভেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পে মূলসেতুর নির্মান কাজ ৫১ দশমিক ২০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।

সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন। 

কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, নাজমুল হক প্রধান, মো. মনিরুল ইসলাম ও নাজিম উদ্দিন আহাম্মদ

পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কমিটির সদস্যরা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে তৎপর থাকার জন্যও সুপারিশ করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

মো. একাব্বর হোসেন বলেন, ‘দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পদ্মাসেতু এখন সময়ের অপেক্ষামাত্র। সেতুর কাজ এগিয়ে চলার মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হচ্ছে’।

তিনি জানান, নদী শাসন ৩৪ শতাংশ, সেতুর দুইপাশের এ্যাপ্রোচ রোড শতভাগ এবং সার্ভিস এরিয়ার শতভাগ ভৌত অগ্রগতি সম্পন্ন হয়েছে। সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে দেশের জিডিপি ১ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

সেতুটির একটি স্প্যান ইতিমধ্যেই বসানো হয়েছে এবং আর একটি স্প্যান ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই বসবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। 

এছাড়াও পদ্মা সেতুর কাজ সফলভাবে সমাপ্তির জন্য সংসদীয় কমিটির কোন সহায়তা প্রয়োজন হলে কমিটি তা দিতে প্রস্তুত বলে মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়। 

পরিদর্শনের সময় পদ্মাসেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালকসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতি ও তদারকিতে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটির ওপর প্রথম স্প্যান বসানো হয়। স্প্যান বসানোর পরে পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হয়।

সে সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রের কালো মেঘ কেটে গেছে। এই স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে আকাশ পরিস্কার হলো।’

জানা গেছে, সেতুর মোট ৬৬টির মধ্যে ৪২টি পিলারে বসবে ৪১টি সুপারস্ট্রাকচার। এর বাইরে সেতুর দুই পার মাওয়া ও জাজিরায় ১২টি করে থাকবে মোট ২৪টি পিলার। পদ্মা নদীর মাঝের ৪০টি পিলারের ২৪০টি এবং দুই পারে দুটি পিলারের ২৮টিসহ মূল সেতুর মোট ২৬৮টি পাইল স্থাপন করা হচ্ছে। 

এছাড়া দেড় কিলোমিটার করে উভয় প্রান্তে তিন কিলোমিটার সংযোগ সেতুর (ভায়াডাক্ট) জন্য আরও ৩৬৫টি পাইল করা হচ্ছে। এর মধ্যে মাওয়া অংশে ১৭২টি এবং জাজিরা অংশে ১৯৩টি পাইল রয়েছে। আর এ সব পাইল ড্রাইভ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে জার্মানির মিউনিখে তৈরি ৩ হাজার কিলোজুল শক্তিসম্পন্ন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী হ্যামার আইএইচসি ৩০০।

এ ছাড়াও রয়েছে ২৪০০ এবং ২০০০ কিলোজুল শক্তি ক্ষমতার আরও দুটি হ্যামার। নিজস্ব অর্থায়নে দেশের এই বৃহৎ অবকাঠামো তৈরির কাজ শুরু হয় ২০১৫ সাল থেকে। ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মাসেতু নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর থেকেই বর্তমান সরকারের প্রধান এই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে দিনরাত কাজ চলছে।

মূল সেতু নির্মাণে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন, নদীশাসনে চীনেরই আরেক প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন এবং সেতুর দুই প্রান্তে টোল প্লাজা, সংযোগ সড়ক, অবকাঠামো নির্মাণ করছে দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

সূত্র: বাসস

প্রিয় সংবাদ/শিরিন