কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

যমুনার প্রবল স্রোতের কারণে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। ছবি: প্রিয়.কম

যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, বিপৎসীমার ১২৬ সেন্টিমিটার উপরে

সিরাজুল ইসলাম শিশির
কন্ট্রিবিউটর, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০১৭, ১৬:৫৮
আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০১৭, ১৬:৫৮

(প্রিয়.কম) উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকায় গত ৪ দিন যাবত যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার পানিতে চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী লোকালয়ে শত শত ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডেও ডাটা এ্যান্ট্রি অপারেটর আব্দুল লতিফ জানান, যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ সেন্টিমিটার বাড়লেও গত রোববারের তুলনায় ৫ সেন্টিমিটার কম। ভারি বর্ষণ না হলে যমুনা নদীতে পানি কমতে থাকবে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, যমুনার পানি যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে আগামী দুই দিনের মধ্যে একশ’ বছরের রেকর্ড ভঙ্গের আশংকা রয়েছে। যমুনার প্রবল স্রোতের কারণে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে।

তিনি আরও জানান, সদর উপজেলার রতনকান্দি ও খোকশাবাড়ির ইউনিয়নের ৩টি স্থানে বাঁধের নিচ দিয়ে পানি চুয়ে বের হচ্ছে। এসব স্থানে বালিভর্তি বস্তা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। জেলার সব নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধগুলোর উপর দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে, অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার সদর, চৌহালী, কাজিপুর, শাহজাদপুর, বেলকুচি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরের নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি ঢুকছে। এতে ওই এলাকার মানুষজন গবাদি পশু ও বাড়ির নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে সংকটে পড়েছেন। সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, জেলায় দ্বিতীয়বারের মতো যমুনার পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনও তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।

তার দাবি, প্রথমবার যাদের ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল তারা এখনও বাঁধের ওপর নিজস্ব উপায়ে ঝুপড়ি তুলে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছেন। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে ১৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র আগে থেকেই নির্ধারিত বা চিহ্নিত করা আছে। বেশি অবনতি হলে সেসব কেন্দ্রে বন্যার্তদের সরিয়ে নেওয়া হবে। এখনও কোথাও কেউ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

তবে দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা ভান্ডার থেকে পাঁচটি উপজেলায় ১৭৫ মেট্রিক টন খয়রাতি চাল এবং ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা আগাম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। 

প্রিয় সংবাদ/শান্ত