কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

এক মুঠো খাবারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চাতক পাখির মতো চেয়ে আছেন বন্যার্তরা। ছবি: প্রিয়.কম

গাইবান্ধায় কমছে পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ

তোফায়েল হোসেন জাকির
কন্ট্রিবিউটর, গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০১৭, ১৯:৪৪
আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০১৭, ১৯:৪৪

(প্রিয়.কম) গাইবান্ধায় বন্যার পানি কমতে থাকলেও বাড়ছে বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগ। সম্প্রতি বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার সংকট। যেন দুমুঠো অন্নের জন্য থালা-বাটি নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেছে দুর্গত মানুষেরা। মানবিক সাহায্যার্থে কে কখন খাবার বিতরণ করবেন, এনিয়ে অপেক্ষার শেষ নেই তাদের।

গত কয়েক দিন ধরে জেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রের ন্যায় সাদুল্যাপুর মডেল সরকারি প্রথমিক বিদ্যায়লে আশ্রিত বানভাসীদের মধ্যে এ চিত্র দেখা গেছে। এক মুঠো খাবারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চাতক পাখির মতো চেয়ে আছেন বন্যার্তরা। শুধু তায় নয়, বিশুদ্ধ পানি, পয়োনিষ্কাশন ও গো-খাদ্যের অভাব।

পাশাপাশি বন্যায় বিভিন্ন জেলা-উপজেলার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনে তুলনায় ত্রাণসামগ্রী কম থাকায় এখনও দুর্ভোগে রয়েছেন বাসভাসী মানুষরা। ফলে পানি কমলেও চরম দুর্দশায় জীবন কাটাচ্ছেন বন্যার্ত মানুষেরা। গৃহপালিত পশু গরু ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা। নিজেদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করতেই ত্রাহি অবস্থা, সেখানে এগুলো নিয়ে কী করবেন! অনেকে তাই ‘পানির দরে’ বিক্রি করে দিচ্ছেন গবাদিপশু। এর মধ্যে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও সরকারিভাবে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল।

এদিকে ২৩ আগস্ট বুধবার সকাল পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর তীব্র স্রোতে বেশ কয়েকটি বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেছেন, আপাতত এই ধসে আশঙ্কার কিছু না থাকলেও নদীতে আরও পানি কমলে হুমকির মুখে পড়তে পারে বাঁধগুলো। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, বুধবার সকাল ছয়টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার নিচে, ঘাঘট নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার নিচে ও করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধির আর কোনো সম্ভাবনা নেই। বিপৎসীমার উপরে থাকলেও ব্যাপকহারে কমছে ঘাঘট ও করতোয়ার নদীর পানি।

বিভিন্ন স্থানে ভাঙন রোধে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল জানান, জেলার বন্যা কবলিত প্রতিটি উপজেলায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যহত আছে। 

প্রিয় সংবাদ/শান্ত