কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

৩৮ ইউনিয়নে ঘরবাড়ি ডুবেছে ৩২ হাজার ৫৫টি। ছবি: প্রিয়.কম

বন্যা পরিস্থিতি: গাইবান্ধায় ৩৮ ইউনিয়নের ৩২ হাজার ঘরবাড়ি পানির নিচে

তোফায়েল হোসেন জাকির
কন্ট্রিবিউটর, গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০১৭, ১৭:১৯
আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০১৭, ১৭:১৯

(প্রিয়.কম) গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। ঘরবাড়ি ডুবেছে ৩২ হাজার ৫৫টি। ওইসব ইউনিয়নের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে ৬৯টি। এইসব আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করেছে প্রায় ৬ হাজার মানুষ।

এছাড়া বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ ও ধসের আশঙ্কা থাকায় বাঁধসংলগ্ন লোকজনকে তাদের সম্পদ নিয়ে নিরাপদ আশ্রয় চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে মাইকিং করা হয়েছে। গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে এ সব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এদিকে বন্যার পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তামুখ ঘাট পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ১শ’ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। অপরদিকে ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা শহর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৭ সে.মি. ও সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি ৬ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, জেলার প্রায় ৭৮ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মধ্যে ফুলছড়ির সিংড়িয়া এলাকায় ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ১০টি পয়েন্টে লিকেজ দেখা দেয়। সেনাবাহিনীর তদারকিতে বালির বস্তা এবং বাঁশের পাইলিং করে ওই স্থানগুলো রক্ষা করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া ঠিকাদারের শ্রমিক ছাড়াও রংপুর-৬৬ ডিভিশনের সেনা বাহিনীর ৮৫ জনের একটি দল ভাঙন কবলিত স্থানগুলোতে কাজ করছে।

এদিকে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল বলেন, এবারের বন্যা কবলিত মানুষদের জন্য এ পর্যন্ত ১শ’ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৮০ মেট্রিক টন চাল ও আড়াই লাখ টাকা উপদ্রুত এলাকায় বিতরণ করা হয়েছে।

প্রিয় সংবাদ/শান্ত