কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সাদুল্যাপুরে বন্যা দুর্গতদের জন্য অপ্রতুল ত্রাণ সহায়তায় দুর্গতদের কষ্টে দিনানিপাত। ছবি: সংগৃহীত

সাদুল্যাপুরে বন্যা দুর্গতদের মাথাপিছু বরাদ্দ ২ কেজি চাল!

তোফায়েল হোসেন জাকির
কন্ট্রিবিউটর, গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০১৭, ১২:৪৪
আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৭, ১২:৪৪

(প্রিয়.কম) গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উজেলায় বন্যা দুর্গত অসহায় মানুষদের খাদ্য সংকট নিরসনে মাথাপিছু দুই কেজি চাল সরকারিভাবে বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। যা একটি পরিবারের একদিনের খাবার নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ঠ দপ্তর। এর ফলে বন্যায় গৃহহারা ছিন্নমূল মানুষগুলো খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে। বন্যাগ্রাসী পরিবার প্রধানেরা তাদের স্ত্রী-সন্তান নিয়ে দুর্বিসহ মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে জানা গেছে।

সাদুল্যাপুর উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের পুরান লক্ষীপুর গ্রামের পানিবন্দী আ. ছালাম বলেন, ‘হামাদের বাড়িত পানি ওটায় হামরা অনেক বিপদে আচি বাহে।’

ফেলু মিয়া নামের একজন বলেন, হামার ঘর-বাড়ি ও হাসঁ-মুরগিগুলা বানের পানিতে ভাসি গেছে। একন এ্যানা কাম-কিশানি করতেও পাচ্ছি না। বউ ছ্যালগুলা নিয়্যা চিন্তায় আচি।’

একই গ্রামের পানিবন্দী লালচান বলেন, ‘ও বাহে সামবাদিক ভাই, একন চেয়ারম্যান-মেম্বরেরা আসে আর নাম নেকি নিয়্যা যায়। তো কিচ্ছু দেয় না বাহে।’

কামারপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ছামুছুল হক মাস্টার বলেন, ‘বন্যা দুর্ভোগের শিকার মানুষের জন্য ইতোমধ্যে কিছু ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সরকারিভাবে তিন টন চাল বরাদ্ধ পাওয়া গেছে যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল বলে তিনি জানিয়েছেন।’

সাদুল্যাপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মনিরুজ্জামান বলেন, এ উপজেলার ৫ ইউনিয়নের আড়াই হাজার পরিবারের প্রায় সাড়ে ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব দুর্গতদের জন্য ইতোমধ্যে ২০ মে.টন চাল বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রসুলপুর ৬ টন, দামোদরপুর আড়াই টন, জামালপুর আড়াই টন, বনগ্রাম ৬ টন ও কামারপাড়া ইউনিয়নে ৩ টন চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। যা ইতোমধ্যে বিতরণ কাজ অব্যহত আছে।

সাদুল্যাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রহিমা খাতুন বলেন, বন্যা কবলিত মানুষদের জন্য ত্রাণ বিতরণ চলছে। সেই সঙ্গে দুর্ভোগ মানুষদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতসহ নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রিয় সংবাদ/কামরুল