কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ত্রাণ গ্রহণ করছেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি পরিবারের সদস্য । ছবি: প্রিয়.কম

বন্যার্ত প্রতিটি পরিবার পাচ্ছে ২ কেজি চাল ও সাড়ে ৮ টাকা মাত্র!

আসাদুজ্জামান সাজু
কন্ট্রিবিউটর, লালমনিরহাট
প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০১৭, ১৩:৩৬
আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০১৭, ১৩:৩৬

(প্রিয়.কম) লালমনিরহাট জেলায় বন্যার পানি কমে গেলেও বন্যার্ত লোকজনের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, তাদের মাঝে যে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। ফলে তাদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে।

লালমনিরহাট জেলা ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট জেলার ৫ উপজেলার ৩৫ ইউনিয়নে চলতি বন্যায় এক লাখ ২ হাজার ৭৫০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বেসরকারি হিসাবে এই সংখ্যা ২ লাখেরও বেশি।

জানা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সহায়তার জন্য এ পর্যন্ত ২৪২ টন চাল ও ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ত্রাণ হিসাবে বিতরণ চলছে। হিসাব অনুযায়ী এসব ত্রাণ এক লাখ ২ হাজার ৭৫০টি পরিবারকে দেয়া হবে। এতে গড়ে প্রতিটি বন্যার্ত পরিবারের ভাগ্যে বরাদ্দ জুটেছে ২ কেজি ৩৫ গ্রাম চাল ও ৮ টাকা ৫১ পয়সা মাত্র। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।

এদিকে বন্যার্ত এলাকায় কাজ না থাকায় দেখা দিয়েছে কর্মসংস্থান সংকট। ফলে বিপাকে পরেছেন নিম্ন আয়ের লোকজন। 

হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কামাল হোসেন ও গড্ডিমারী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মুকুল হোসেন প্রিয়.কমকে বলেন, আমরা ৪ দিন ধরে পানি বন্দি অবস্থায় পড়ে থাকলেও এখন পর্যন্ত আমাদের মাঝে কোনো ত্রাণ বিতরণ করা হয়নি। পরিবার পরিজনদের নিয়ে আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি।

একই উপজেলার চর ডাউয়াবাড়ী এলাকার আব্দুস সামাদ বলেন, আমাদের মাঝে খাবার সংকটের পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত আমাদের মাঝে কোনো ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়নি।

তবে স্থানীয় প্রশাসন বলছেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল ৫০০ টাকা এবং বিভিন্ন জনকে ১ হাজার টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হবে।

এ সব বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ জানান, চলতি বন্যায় প্রথম পযার্য়ে ১৬০ টন চাল ও চার লাখ ৭৫ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৮০ টন চাল ও চার লাখ টাকা ত্রাণ সহায়তা পাওয়া গেছে, যা বিতরণ চলছে। আরো ত্রাণ সহায়তা বরাদ্দ পাওয়া গেলে তা বিতরণ করা হবে। আমরা প্রতিটি বন্যার্ত পরিবারকে সহায়তা দিতে চেষ্টা করছি।

প্রিয় সংবাদ/রাকিব/আশরাফ