সাকিব আল হাসান। ছবি: প্রিয়.কম
‘১১ বছর হয়ে গেল, একটা বিরতি তো নিতেই পারি’
আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:২৭
(প্রিয়.কম) কান্তি কাটিয়ে উঠতে টেস্ট থেকে ছয় মাসের বিশ্রামের আবেদন করে যেন বিপাকেই পড়ে গেছেন সাকিব আল হাসান। আবেদনের সাড়া মেলার আগে থেকেই সাকিবের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে তুমূল সমালোচনা হয়ে আসছে। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ! এমন সময় কি না সাকিব বিশ্রামের আবেদন করলেন? অনেকেরই এমন প্রশ্ন। যদিও সাকিব এ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না।
তবে বিশ্রাম রহস্যের জট খোলার চেষ্টা করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। মঙ্গলবার বনানীর নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন সাকিব। যেখানে টেস্ট থেকে ছয় মাসের বিরতি নেওয়ার বিষয়ে অনেক কথা বলেছেন তিনি। কে, কীভাবে বিষয়টি দেখছেন সেটা নিয়ে না ভেবে সাকিব বলছেন, অনৈতিক কিছু করেননি তিনি। ১১ বছর ক্রিকেট খেলার পর এই বিশ্রামটা তার প্রাপ্য।
সাকিব বলছেন, ‘আমি মনে করি এটা আমার জন্য উপকারী হবে। যেহেতু অনেক বেশি খেলা হয়, আমার ফিটনেস নিয়ে ওভাবে কাজ করা হয় না। করা হলেও মানসিকভাবে চাঙা থাকার যে ব্যাপারটি আছে, সেটি হয় না। এমন তো নয় যে দুই-একদিন খেলেই ছেড়ে দিচ্ছি। ১০-১১ বছর হয়ে গেল, একটি বিরতি তো নিতেই পারি। এটা আমার প্রাপ্য।’
বেশ কিছুদিন ধরেই বিরতি নেওয়ার কথা ভাবছিলেন সাকিব। অবশেষে ১০ সেপ্টেম্বর আবেদন করেছেন। বাংলাদেশের হয়ে ৫১টি টেস্ট খেলা বাঁ-হাতি এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘বিরতি নেওয়ার বিষয়টি বেশ কিছুদিন ধরেই মনে হচ্ছে। এটা আমি আগে আলোচনাও করেছি। এমনকি এই টেস্ট সিরিজের আগে কথা বলে রেখেছি। আমার স্ত্রীর সঙ্গে এবং আমার কাছের যারা আছে, সবাই জানত যে আমি এরকম চিন্তা করছি।’
ছয় মাসের বিরতি চান। কিন্তু এমন হবে না তো আর ফিরলেনই না? এমন প্রশ্নে সাকিব বলেন, ‘এমন তো নয় যে আমি আর ক্রিকেটই খেলছি না! অবশ্যই খেলব। কেন খেলব না! আমার ইচ্ছে আছে, সবার পরে টেস্ট থেকে অবসর নেব। তার আগে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে থেকে অবসর নেব। সবার শেষে টেস্ট থেকে।’
তবে এসব বিষয়ে সবাইকে বলার দরকার আছে বলে মনে করেন না সাকিব। বলছেন, ‘আমার মনের কথা সবসময় সবাইকে বলার দরকার আছে বলে মনে হয় না। আমার ভেতরে কি আছে সেটা আমি জানি। মানুষ যেমন সচেতন, আমিও সচেতন। আমি ওভাবেই চেষ্টা করব। গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে যে, আমার কাছে মনে হয়, স্রেফ খেলার জন্য দুই-এক বছর খেলার থেকে পাঁচ বছর মন দিয়ে খেলা বেশি জরুরী।’