কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সফল ব্যক্তিরা করে এমন ১০০টি বিষয়: সফল জীবনযাপনের ছোট্ট অনুশীলন’ বইটি হাতে অনুবাদক বুশরা আমিন তুবা। ছবি: নূর, প্রিয়.কম।

সফল ব্যক্তিদের ১০০ জীবনচর্চা (অনুশীলন ৯৫): 'পৃথিবী রক্ষার্থে সাহায্য করুন'

বুশরা আমিন তুবা
ফিচার লেখক, প্রিয়.কম
প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০১৭, ১৮:৫৩
আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৭, ১৮:৫৩

(প্রিয়.কম) প্রিয় পাঠক, আপনাদের জন্য রয়েছে আমাদের এ নতুন আয়োজন। এখানে 'দ্য সিল্ক রোড পার্টনারশিপ' এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাইজেল কাম্বারল্যান্ড লিখিত একটি বইয়ের সাথে আপনাদের পরিচয় করানো হবে। বইটির শিরোনাম, 'হান্ড্রেড থিংস সাকসেসফুল পিপল ডু: লিটল এক্সারসাইজেস ফর সাকসেসফুল লিভিং’। এবং আমরা বইটি অনুবাদ করছি "সফল ব্যক্তিদের ১০০ জীবনচর্চা" শিরোনামে। সপ্তাহব্যাপী এই আয়োজনে প্রতিদিন এই বই থেকে একটি করে বিষয় আলোচনা করা হবে। আজকের আয়োজনে জেনে নিন সফল ব্যক্তিদের করা ৯৫ নম্বর বিষয়টি সম্পর্কে।

অনুশীলন ৯৫: 'পৃথিবী রক্ষার্থে সাহায্য করুন'

আমাদের পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত ভৌগলিক পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। আপনি মানেন আর না মানেন, নিচের পরিবর্তনগুলো বেশ চোখে পড়ার মতন।

- আমরা প্রতিবছর ৫০০ বিলিয়ন থেকে ১ ট্রিলিয়ন প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার করি যেগুলো পচতে অন্তত কয়েকশ বছর লাগবে।

- পৃথিবীর ঘন জঙ্গলগুলো দিনের পর দিন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যেগুলোর একেকটির আকৃতি হবে এক লক্ষটি ফুটবল খেলার মাঠের সমান।

- একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেই শতকরা চল্লিশ ভাগ লেক এতোটাই দূষিত করে যে সেখানে জলজ প্রাণীদের বাস করা কিংবা সাঁতার কাটা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

- এক বিলিয়নের বেশি মানুষ এখনো নিয়মিত খাবার পানি পাচ্ছে না।

- ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীতে গাড়ির সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাবে।

এমন একটি সময় দাঁড়িয়েছে এখন যে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকা কোন সমাধান নয়। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে আমরা যদি একটি সুস্থ ও সুন্দর ভবিষ্যত দান করতে চাই তবে এখন থেকেই কাজ শুরু করা দরকার। 

আপনার আশেপাশের পরিবেশ যদি দূষিত ও অবহেলিত অবস্থায় থাকে, তবে সফলতা লাভ করে আপনি কি খুব শান্তি পাবেন?

পরিবেশবান্ধব হয়ে উঠুন

দারুণ একটি আমেরিকান প্রবাদ আছে এমন যে, আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের হতে পৃথিবীতে থাকার অধিকার পাইনা বরং আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম থেকে ধার করে নেই। প্রতিদিন আপনি যা যা করছেন, পরিবেশের উপর তার একটি প্রভাব পড়ছে। আপনি যা-ই করেন না কেন, ছোট কিংবা বড় সবকিছুই পরিবেশে লক্ষণীয় হয়। জীবন ধারণ করতে আপনি কী কী পরিবর্তন আনতে চান এ পৃথিবীতে, তা এখনই শুরু করুন-

- পরিত্যক্ত দ্রব্যের পরিমাণ কমিয়ে ফেলুন। রান্নাঘর থেকেই না হয় শুরু করুন। এমন কিছু জিনিসপত্র কিনুন যেগুলো পুরোপুরি ব্যবহার করা যায়। খাদ্যদ্রব্যের পরিত্যক্ত অংশ থেকে জৈবসার বানিয়ে ফেলতে পারেন। বাজারে গেলে ভুলেও পলিথিনে করে কিছু আনবেন না।

- ঘরের জন্য নতুন কোন জিনিস কিনলে পুরনো কিছু দান করে দিন।

- পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রতিদিন কিছু সময় ব্যয় করুন। 

- জীবনযাপনে এবং ভ্রমণে সবুজের সমন্বয় গড়ে তুলুন। ঘরে সোলার প্যানেল বসাতে পারেন।  

প্রিয় লাইফ/ কে এন দেয়া