কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সফল ব্যক্তিরা করে এমন ১০০টি বিষয়: সফল জীবনযাপনের ছোট্ট অনুশীলন’ বইটি হাতে অনুবাদক বুশরা আমিন তুবা। ছবি: নূর, প্রিয়.কম।

সফল ব্যক্তিদের ১০০ জীবনচর্চা: অনুশীলন ৬১- 'ভালোমত খাওয়া-দাওয়া করুন'

বুশরা আমিন তুবা
ফিচার লেখক, প্রিয়.কম
প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০০:১৮
আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০০:১৮

(প্রিয়.কম) প্রিয় পাঠক, আপনাদের জন্য রয়েছে আমাদের এ নতুন আয়োজন। এখানে 'দ্য সিল্ক রোড পার্টনারশিপ' এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাইজেল কাম্বারল্যান্ড লিখিত একটি বইয়ের সাথে আপনাদের পরিচয় করানো হবে। বইটির শিরোনাম, 'হান্ড্রেড থিংস সাকসেসফুল পিপল ডু: লিটল এক্সারসাইজেস ফর সাকসেসফুল লিভিং’। এবং আমরা বইটি অনুবাদ করছি "সফল ব্যক্তিদের ১০০ জীবনচর্চা" শিরোনামে। সপ্তাহব্যাপী এই আয়োজনে প্রতিদিন এই বই থেকে একটি করে বিষয় আলোচনা করা হবে। আজকের আয়োজনে জেনে নিন সফল ব্যক্তিদের করা ৬১ নম্বর বিষয়টি সম্পর্কে।

অনুশীলন ৬১- 'ভালোমত খাওয়াদাওয়া করুন' 

সকলেই খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে সমান যত্নশীল নন। আমাদের চারপাশেই অনেকজনকে আমরা খাদ্য ও পানীয় সমস্যায় ভুগতে দেখি। অন্তত পাশ্চাত্য সমাজে স্থূলতা, খাদ্যে অনীহা এবং ডায়াবেটিসের সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। খুব দ্রুত এবং সস্তায় পাওয়া যায় বলে মানুষ ফাস্টফুড এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারের দিকে ঝুঁকে পড়েছে মারাত্মকভাবে। কিন্তু ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি নিয়ে আপনি কীভাবে একজন সফল মানুষের জীবন অতিবাহিত করবেন, ধারণা আছে কোন? 

মুশকিল হচ্ছে, আমাদের আশেপাশে উপদেশের ছড়াছড়ি। কিন্তু কোনটা মেনে চলা উত্তম হবে তা ঠিক বুঝে উঠতে পারিনা আমরা। বিভিন্ন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত গবেষণা প্রতিনিয়ত আমাদের বলছে কী খাওয়া উচিৎ এবং কী খাওয়া অনুচিত, কিন্তু এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই আমরা ভুলে বসছি সবকিছু। তা সে ক্যাফেইন হোক আর আমিষ হোক!

আপনি যদি এখনো তরুণ এবং দায়সারা গোছের হন, তবে আপনি কি ঝুঁকিমুক্ত? মনে রাখবেন, আজকে আপনি যা যা করছেন, তার মূল্য কিন্তু কিছুদিন পরেই পরিশোধ করতে হবে। আপনি যদি এখন ভারী এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারে নিজেকে পরিপূর্ণ করে ফেলেন তবে নিঃসন্দেহে একটু বয়স হলেই আপনি অনেক সমস্যায় ভুগবেন। আপনি দ্রুত বুড়িয়ে যাবেন, আপনার হজমশক্তি কমতে থাকবে এবং আপনার আয়ু কমে যাবে।

সুতরাং, আজ থেকেই কী খাবেন আর না খাবেন না আরেকবার চিন্তা করে নিন। মনে রাখবেন, জীবন কিন্তু একটাই। আপনি দ্বিতীয় চিন্তা করার সুযোগ পাবেন না। 

যা-ই খাবেন মেপে খান

আমি এটা বলছি না সর্বদা আমাদের সুষম খাবার খেতেই হবে। আমাদের যা-ই খেতে হবে তা যেন পরিমাণমত হয়। যদি সম্ভব হয়, অস্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং পানীয় গ্রহণ সম্পূর্ণভাবে বাদ দিন। বাসায় থাকলে, মিষ্টি খাবার এবং তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

আপনার শরীরে কেমন খাবার প্রয়োজন তা জেনে খাওয়াদাওয়া করুন। লোভে পড়ে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলবেন না।

নতুন অভ্যাস আয়ত্ব করুন

চিকিৎসকেরা আপনার কোন খারাপ অসুখ সনাক্ত করার আগেই খাদ্যাভ্যাস বদলে ফেলুন। নিচের সহজ অভ্যাসগুলো রপ্ত করতে পারেন-

- ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস পানি পান করুন।

- সকালের নাস্তা কোনভাবেই বাদ দেবেন না।

- স্ন্যাক হিসেবে তাজা ফলমূল এবং বাদাম খেতে পারেন-

- চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিন-

- ঘুমানোর বেশ কয়েক ঘণ্টা আগেই রাতের খাবার সেরে নিন।