কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সফল ব্যক্তিরা করে এমন ১০০টি বিষয়: সফল জীবনযাপনের ছোট্ট অনুশীলন’ বইটি হাতে অনুবাদক বুশরা আমিন তুবা। ছবি: নূর, প্রিয়.কম।

সফল ব্যক্তিদের ১০০ জীবনচর্চা: অনুশীলন ৫৮- 'পড়ার প্রতি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিন'

বুশরা আমিন তুবা
ফিচার লেখক, প্রিয়.কম
প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:১৩
আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:১৩

(প্রিয়.কম) প্রিয় পাঠক, আপনাদের জন্য রয়েছে আমাদের এ নতুন আয়োজন। এখানে 'দ্য সিল্ক রোড পার্টনারশিপ' এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাইজেল কাম্বারল্যান্ড লিখিত একটি বইয়ের সাথে আপনাদের পরিচয় করানো হবে। বইটির শিরোনাম, 'হান্ড্রেড থিংস সাকসেসফুল পিপল ডু: লিটল এক্সারসাইজেস ফর সাকসেসফুল লিভিং’। এবং আমরা বইটি অনুবাদ করছি "সফল ব্যক্তিদের ১০০ জীবনচর্চা" শিরোনামে। সপ্তাহব্যাপী এই আয়োজনে প্রতিদিন এই বই থেকে একটি করে বিষয় আলোচনা করা হবে। আজকের আয়োজনে জেনে নিন সফল ব্যক্তিদের করা ৫৮ নম্বর বিষয়টি সম্পর্কে।

অনুশীলন ৫৮- 'পড়ার প্রতি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিন'  

পিউ রিসার্চ সেন্টার এবং ইউকে গভর্নমেন্টের জরিপ অনুসারে, আমেরিকার শতকরা ৫৫ ভাগ নাগরিক এবং ব্রিটিশ শতকরা ৬৫ ভাগ নাগরিক আনন্দের জন্য বই পড়ে থাকেন। এটি কল্পনা করতেই কষ্ট হয় যে সফল জীবন অতিবাহিত করার জন্য মানুষ বই পড়তে চান না। বই পড়লে আপনার চিন্তা-ভাবনা প্রসারিত হয় এবং আপনি নিজের ও জীবনের মূল্য ভালোভাবে বুঝতে পারেন। 

আপনি ফিকশন পড়ুন কিংবা নন-ফিকশন তাতে কিছু যায় আসে না। বড়, দীর্ঘ বই পড়তে নিশ্চয়ই দারুণ লাগে কিন্তু ছোটখাটো বই, পত্রিকা, ম্যাগাজিন, ব্লগ পড়লে আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন। এমন কিছু পড়ুন যাতে করে আপনার মন ও আত্মা পরিশুদ্ধ হয়। আপনি যেন ভেতর থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজে পান। বই পড়লে আপনি অন্যের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে নতুনভাবে পৃথিবীকে দেখতে, জানতে ও বুঝতে শিখবেন। আপনার জীবনের কোন মোড়ে পরিবর্তন আনা উচিৎ, তাও বুঝতে পারবেন।

আপনি যে বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন, কাজ করেছেন কিংবা চাকরী করেছেন সে বিষয়ে বই-পত্র পড়লে আপনি অন্যের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন খুব স্বাচ্ছন্দ্যেই, যুক্তিসঙ্গত কথা আপনি নির্দ্বিধায় বলতে পারবেন। কাজ-কর্ম ও চিন্তা-ভাবনায় আপনি থাকবেন সবার থেকে এগিয়ে।

গভীরে যান

খুব দ্রুততার সঙ্গে কোন কিছু পড়া এড়িয়ে চলুন। বই যখন পড়বেন তখন অন্য কোন কাজ করা কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করা থেকে বিরত থাকুন। তার বদলে সময় নিয়ে কোন একটি আর্টিকেল কিংবা ম্যাগাজিন পড়ুন। এতে করে আপনার মন পরিশুদ্ধ হবে। পুরো বইটা মন দিয়ে পড়লে সে বিষয় সম্পর্কে আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি পরিণত হয়ে উঠবেন।

ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যায় এমন বই পড়ুন

পড়ার আগে এমন বই পছন্দ করুন যেটি আপনার ব্যক্তিত্ব, রুচি ও মানসিকতার সঙ্গে যায়। এ ব্যাপারে অলসতা করবেন না মোটেও। পাড়ার দোকান থেকে মোটামুটি ধরণের বই পড়লে আপনার কোন লাভ হবে না। ভালোমানের বই পড়ার দিকে সময় এবং অর্থ দুই-ই বিনিয়োগ করুন। এ ব্যাপারে একটু অন্যরকম পন্থা অবলম্বন করুন। অন্য মানুষ যে বই পড়ছে না, সেটি একবার পড়ে দেখুন কেমন লাগছে। লেখক হারুকি মুরাকামি এ বিষয়ে একটি অভিনব কথা বলেছেন, 'অন্য মানুষেরা যে বই পড়ছে, আপনিও যদি সে বই পড়েন তাহলে অন্যদের সঙ্গে আপনার চিন্তাভাবনায় কোন পার্থক্য আসবে না'

বই পড়ার ক্লাবে যোগদান করুন

এমন কোন মানুষ খুঁজে বের করুন যিনি প্রচুর পরিমানে বই পড়েন এবং বই নিয়ে কথা-বার্তা বলতে পছন্দ করেন। এমন কিছু মানুষদের নিয়ে পারলে একটি গ্রুপ করে ফেলুন। দেখবেন আপনার সময়টি খুব ভালো কাটছে। 

পড়া থেকে লেখার দিকে স্থানান্তরিত হোন

পরিশেষে, আপনার যদি কোন কিছু বলতে হয় তবে লেখা শুরু করুন। নিজের ধারণা, গল্প ও চিন্তাগুলোকে ব্লগে, আর্টিকেলে কিংবা বইয়ে রুপান্তরিত করুন। অনেকদিন ধরে চিন্তা করছেন কিংবা ইচ্ছা পোষণ করছেন এমন ধারণাগুলোকে বইয়ের পাতায় টুকে ফেলুন। অতঃপর নিজেই সেটি পাবলিশ করুন কিংবা কোন পাবলিশার খুঁজে বের করুন। এভাবেই নিজের স্বপ্নগুলোকে বাস্তবে রুপান্তর করুন। 

সম্পাদনা: কে এন দেয়া